ক্রীড়া ডেস্ক: গতির খেলা ফুটবল। এই খেলায় বলের সাথে গতি আর গোলের প্রতিযোগীতা করে দুই দল। কিন্তু ছন্দের খেলা এ ফুটবলে মেক্সিকোর ইতিহাসে জন্ম নিল এক কালো দিনের। দেশটির টপ ডিভিশন ফুটবল লিগে আটলাস এফসি ও কোয়ারেতারতোর মধ্যকার ম্যাচকে ঘিড়ে স্টেডিয়ামে ঘটে গেল লঙ্কাকাণ্ড! দুই দুলের খেলোয়ারদের মাঝে বল নিয়ে প্রতিযোগীতা থেকে সমর্থকরা লিপ্ত হলের হাতাহাতির প্রতিযোগীতায়। আর দুই ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। রোববার এমনই খবর জানিয়েছেন মেক্সিকান সংবাদমাধ্যম ইউনিভার্সাল দিপোর্তেসের।
খবরে বলা হয়, শনিবার দেশটির দুই ফুটবল ক্লাব কোয়ারেতারতো ও আটলাসের ম্যাচ দেখতে গিয়ে মারামারিতে জড়ান দুদলের সমর্থকরা। আর এতে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ম্যাচ শেষে লা কোরেগিডোরা স্টেডিয়ামের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের লাশ পড়ে আছে বলে জানাচ্ছে তারা।
ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তেই আচমকা আটলাসের সমর্থকদের উপর আক্রমণ করে কোয়ারেতারতোর সমর্থকরা। শুরুতে আটলাসের একটা ছোট্ট গ্রুপকে আক্রমণ করেন কোয়ারেতারতো সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তারা মাঠে ঢুকে পড়েন। মাঠে ঢুকে পড়ার পরও তারা প্রতিপক্ষের সমর্থকদের আঘাত করতে থাকেন।
তাদের কারো কারো হাতে ছুরিও দেখা গেছে। এক পর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীরা হাল ছেড়ে দেন। এরপর একে একে ১৭ জন নিহত হন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দু’পক্ষের মারমারির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা স্টেডিয়াম রণক্ষেত্রে পরিণত হলে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ফলে ম্যাচটি বন্ধ করা দেওয়া হয়। বহু দর্শক আতঙ্কে মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যান। খেলোয়াড়দের লকার রুমে পাঠানো হয়।
এদিকে এই ঘটনার পর মেক্সিকান লিগের শনিবারের সব খেলা স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন মেক্সিকান লিগের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট মাইকেল আরিওলা পেনালোসা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে দায়ী ব্যক্তিদের।
তিনি বলেছেন, ‘লা কোরেগিডোরা স্টেডিয়ামে হওয়া সংঘর্ষ অগ্রহণযোগ্য ও দুর্ভাগ্যজনক। যারা স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের উদাহরণ দেওয়ার মতো শাস্তি দেওয়া হবে। আমাদের সমর্থক ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা মূল বিষয়।’