শেয়ার বিজ ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের উত্তর ও দক্ষিণ উপকূলের স্থলভাগে গত রোববার মেগি নামে একটি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এই ক্রান্তীয় ঝড় আঘাত হানার পর বন্যা ও ভূমিধসে দেশটির কমপক্ষে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। খবর: সিএনএন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের উত্তর ও দক্ষিণ উপকূলে এসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে আগাতন নামে পরিচিত এই ঘূর্ণিঝড়। এটি ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার গতিতে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা হাওয়ার সঙ্গে ফিলিপাইনের স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ফিলিপাইনে আঘাত হানা মেগির প্রথম ঝড় এটি। ফিলিপাইনে প্রতি বছর অন্তত ২০টি ঝড় আঘাত হানে।
অতিরিক্ত ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বাড়িঘর ও মাঠ পানিতে তলিয়ে যায় এবং গ্রামগুলোয় ভূমিধস শুরু হয়।
ঝড়টি পূর্ব উপকূলজুড়ে বয়ে যাওয়ার আগে ওই অঞ্চলের ১৩ হাজারের বেশি মানুষ উঁচু জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। উদ্ধারকারীরা কর্দমাক্ত জলাভূমির মধ্যে দিয়ে হেঁটে ও দ্রুত বয়ে যাওয়া নদীতে রবারের ডিঙ্গি ব্যবহার করে ডুবে যাওয়া বাড়ি ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এলাকাগুলোয় পৌঁছানোর চেষ্টা করেন।
দেশটির বেবে শহরের পুলিশ প্রধান জোয়েমেন কোলাডো বলেন, পূর্বাঞ্চলীয় লিয়েতে প্রদেশে ভূমিধসে চাপা পড়া ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভূমিধসের পর ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ বন্যার স্রোতের তোড়ে ভেসে গেছেন। আরও ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান চলছে।
স্থানীয় অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ভূমিধসের কবলে পড়া এলাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া ঘরের কাছে উদ্ধার অভিযান চলছে।
ওদিকে ফিলিপাইনের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থা সংস্থা জানায়, দক্ষিণের দাভাও অঞ্চলে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া ব্যুরো জানায়, গতকাল ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় মেগি আরও দুর্বল হয়ে ৪৫ কিলোমিটার গতি নিয়ে সমুদ্রের দিকে সরে যাচ্ছে।
গত বছর ডিসেম্বরে সুপার টাইফুন রাই দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিল। তখন অন্তত ৩৭৫ জনের মৃত্যু ও প্রায় ৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন।
