কামরুল হাসান ছিদ্দিকী, ফেনী: চট্টগ্রামের সঙ্গে ফেনীর মানুষের দীর্ঘদিনের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে ফেনীকে চট্টগ্রাম বিভাগের আওতায় রাখার দাবি জানিয়েছেন ফেনীর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
গত শুক্রবার রাতে ফেনী পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সভা থেকে এ দাবি উত্থাপিত হয়।
সম্প্রতি দেশে আরও দুটি প্রশাসনিক বিভাগ গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ফেনীর নাগরিক নেতারা এ সভার আয়োজন করেন। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।
এতে জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নাগরিক নেতাদের মতামতের সমন্বয়, প্রতিফলন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করা হয়।
সভায় উপস্থিত থেকে ফেনীকে চট্টগ্রাম বিভাগের আওতায় রাখার পক্ষে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন ফেনী পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মিয়াজী, সাবেক মেয়র হাজী আলা উদ্দিন, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিমল কান্তি পাল, বিএমএ ফেনী জেলা সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র দাস, ব্যবসায়ী নেতা পারভেজুল ইসলাম হাজারী, ইকবাল আলম, শিক্ষক নেতা মোছাদ্দেক আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, সাংবাদিক আবু তাহের, আসাদুজ্জামান দারা, রফিকুল ইসলাম, আতিয়ার সজল, শেখ ফরিদ আক্তার, আরিফুল আমিন রিজভী, সমির ভূঁঞা প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা ফেনীবাসীকে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে তার সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের সঙ্গে ফেনীবাসীর দীর্ঘদিনের নানা ধরনের সামাজিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ফেনীর সোনাগাজী ও চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার অংশ বিশেষ নিয়ে গঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম শিল্পনগরী ‘বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল’। চট্টগ্রামের সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা সম্পর্ক রয়েছে। ফেনীর অনেক মানুষ চট্টগ্রামে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি করেন। অনেকে চট্টগ্রামে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী বীরকন্যা প্রতীলতা, সূর্য সেনের স্মৃতিবিজড়িত চট্টগ্রামের সঙ্গে ফেনীর মানুষের দীর্ঘদিনের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে।
সভায় নাগরিক নেতাদের মতামতের সমন্বয়, প্রতিফলন ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে ফেনীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহেরকে আহ্বায়ক, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুর হোসেনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারীকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।