মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ শতাংশ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মেঘনা পিইটি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ বা ১ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৭ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৫টি শেয়ার মোট ৪৬২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৬ টাকা ১০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৩৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৭ টাকা ৯০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ৫২ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০০১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে জেড ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৩০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১২ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভ ঘাটতির পরিমাণ ১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৪৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে সাত দশমিক ৪৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ৪৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ। এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ বা ২ টাকা ৭০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৮১ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৫ লাখ ৬ হাজার ৫৭২টি শেয়ার ১ হাজার ৪৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪ কোটি ৮ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৭৯ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮২ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৮২ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০০৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬৮ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১১০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ছয় কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার ১২২টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩৬ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৩ দশমিক ১৪ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩০ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৫৩ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ২৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৫৯ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল এক টাকা ৬৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৭৫ পয়সা। কোম্পানিটির ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০