Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 9:35 pm

মেলায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি থাকলেও বিক্রি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরটা দর্শনার্থীতে পূর্ণ। দোকানের মাঝের গলিতে একজনের সঙ্গে আরেকজনের ধাক্কা লেগে যাচ্ছে প্রায়। বেশিরভাগ পণ্যের দোকানে রয়েছে মানুষের সরব উপস্থিতি। তারপরও বিক্রেতারা বলছেন, মেলায় তেমন বিক্রি নেই। ঢাকার (আগের মেলা প্রাঙ্গণ) ভেতরেই ভালো ছিল।

গতকাল শনিবার মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার চলমান ২৭তম আসরের ২১তম দিন ছিল গতকাল। মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এক্সিবিশন সেন্টারের ভেতরে পূর্ব পাশের জোনে দেখা গেছে মেয়েদের শাল, ব্যাগ, জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দোকানে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি। সবচেয়ে বেশি ভিড় রয়েছে বিদেশি পণ্যের দোকানে। নানা রং, নানা ডিজাইনের শাল, চাদর, ব্যাগ ও জুতা স্থান পেয়েছে এসব দোকানে। মেলায় মানুষজনের ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও বিক্রেতারা একেবারেই সন্তুষ্ট নন। তারা বলছেন, এত মানুষ থাকলেও সবাই শুধু দেখতে আসছেন, কিনছেন কম।

শারমিন সুলতানা নামে এক ক্রেতা বলেন, ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বিদেশি পণ্যের দোকান দেখলাম। আমি একটি কাশ্মীরি সাল কিনেছি দুই হাজার টাকায়। নানা ধরনের পণ্য রয়েছে দোকানগুলোয়। বাণিজ্যমেলার বাইরে এসব পণ্য দেখাই যায় না। তাই প্রতি বছর মেলায় আসি।

আরেক ক্রেতা শায়লা আহসান বলেন, ক্রোকারিজ জিনিসের প্রতি আমার দুর্বলতা রয়েছে। প্রতি বছর কিছু কিছু করে কিনতে কিনতে বাসায়ই মেলা বানিয়ে ফেলেছি। বাণিজ্যমেলায় এলে নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। পছন্দের জিনিসগুলো কালেকশনে রাখি।

নন্দি এক্সপোর্টের বিক্রয়কর্মী মাহমুদ বলেন, পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলা একেবারে ফ্লপ। বাণিজ্যমেলা যখন আগারগাঁওয়ে ছিল, তখনই বেশ ভালো বিক্রি হতো। এখানে আগের মতো বিক্রি হয় না। খরচ বাদে কোনো রকমে পোষানো যায় আর কি!

ইন্ডিয়ান ফুটওয়্যারের বিক্রেতা সানু বলেন, ভালোই বিক্রি হচ্ছে। তবে একেবারে ভালো বলা যাবে না।

এক্সিবিশন সেন্টারের বাইরে একেবারে পূর্ব পাশে রয়েছে ছেলেদের ব্লেজারের দোকান। তবে সেখানে মেয়েদের দোকানের মতো এত ভিড় নেই। প্রতিটি দোকানে হাতেগোনা কয়েকজন দর্শনার্থী আছেন। একটি ব্লেজার দোকানের কর্মী রাসেল বলেন, এখন আর ছাড় দিয়েও মানুষকে ব্লেজারের দোকানে আনা যায় না। আগারগাঁওয়ে যখন ছিল, তখন বেশ ভালো বিক্রি হতো। এখন তো নিজে দেখতে পাচ্ছেন কী অবস্থা। হয়তো শেষের দিকে একটু বিক্রি হতে পারে।