মেসির নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন বার্সা

ক্রীড়া ডেস্ক: দলের অন্যতম ভরসা নেইমারের বিদায়ের পর গতকাল প্রথম খেলতে নেমেছিল বার্সেলোনা। তাতে কী? নেইমার-শূন্যতা এতটুকু হলেও দেখা যায় দলের খেলায়। সেই লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে বড় জয় পেলো বার্সা। ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোয়েন্সকে হারিয়ে জুয়ান গ্যাম্পার ট্রফি জিতে নিয়েছে এরনেস্তো ভালভেরদের দল। মেসি নিজে একটি গোল করা ছাড়াও সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও দুটি।

গত পরশু ক্যাম্প নউয়ে শাপেকোয়েন্সকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। তবে গোলসংখ্যাটা আরও বাড়তে পারতো যদি মেসি-সুয়ারেজরা বেশ কিছু সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট না করতেন।

বার্সেলোনা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক খেলোয়াড় ও সভাপতি জুয়ান গ্যাম্পারের নামানুসারে এ ম্যাচের আয়োজন করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এবার ছিল ট্রফির ৫২তম সংস্করণ।

তবে শাপেকোয়েন্সকে যে শুধু গোলের বন্যায় ভাসিয়েছে তা নয়, ম্যাচ শেষে ভালোবাসা প্রকাশেও কার্পণ্য করেনি কাতালানরা।

গত নভেম্বরে কোপা সুদামেরিকানার ফাইনালের প্রথম লেগে কলম্বিয়ার অ্যাথলেটিকো ন্যাসিওনালের বিপক্ষে খেলতে মেডেলিন যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয় শাপেকোয়েন্সের খেলোয়াড়-কর্মকর্তা বহনকারী বিমানটি। ওই দুর্ঘটনায় ৭১ যাত্রী প্রাণ হারিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ক্লাবটির ১৯ খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও স্টাফ ছিলেন। মাত্র তিনজন খেলোয়াড় প্রাণে বেঁচেছিলেন। প্রাণ হারানো সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্রাজিলের ক্লাবটিকে আমন্ত্রণ জানায় বার্সেলোনা।

ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ আসে মেসিদের সামনে। তৃতীয় মিনিটেই মেসির লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে সেটি হাতছাড়া হয়। ঠিক এক মিনিট পরই আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন লুইস সুয়ারেজ। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ষষ্ঠ মিনিটে এ মৌসুমেই ক্যাম্প নউয়ে ফেরা জেরার্ড দেউলোফেউ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বাঁদিকে দেউলোফেউকে লক্ষ করে বল বাড়ান ইভান রাকিটিচ। আর সেখান থেকেই বল সরাসরি জালে। ম্যাচের ১১ মিনিটে দূরপাল্লার শট থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সার্জিও বুসকেটস।

২৭তম মিনিটে মেসির দারুণ ফ্লিক বেশ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। তবে দলের সেরা তারকাকে কী বেশিক্ষণ গোলবঞ্চিত রাখা যায়? পরের মিনিটেই নিজের প্রথম ও দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন মেসি। প্রথমার্ধের ঠিক আগ মুহূর্তে গোলরক্ষককে একা পেয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। আর ৪৫তম মিনিটে সুয়ারেজের বিদ্যুৎ গতির ভলি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক ব্রাজিলের এলিয়াস কুরজেল।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান সুয়ারেজ। মেসির পাস থেকে ডান পায়ের শটে দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। দলের হয়ে সর্বশেষ গোলটি করেন দেনিস সুয়ারেজ। ৭৪তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে মেসির সোজাসুজি পাস ধরে একটু এগিয়ে কোণাকুণি শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০