মেহেরপুরে শেষ হলো ৯ দিনব্যাপী যাত্রাপালা

প্রতিনিধি, মেহেরপুর : যাত্রাপালা এক সময় গ্রাম বাংলার মানুষের অন্যতম বিনোদনের খোরাক ছিলো। কালের বিবর্তন আর আধুনিকতার ছৌঁয়ায় এখন আর নেই যাত্রাপালার সেই যৌলুস। আবহমান গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে মেহেরপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমী আয়োজনে হয়ে গেল ৯ দিনব্যাপী যাত্রা উৎসব। নতুন করে এ আয়োজনে খুশি যাত্রা শিল্পী ও তরুণ প্রজন্ম। গত ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার থেকে শুরু হয় এই যাত্রাপালার আয়োজন।

তরবারির ঝনঝনানি কখনও কখনও অট্ট হাসি দিয়ে যাত্রা শিল্পীরা মাতিয়ে তুলতেন মঞ্চ। এ শীল্পের চর্চা হতো শহর, গ্রাম কিংবা পাড়া মহল্লায়। গ্রাম বাংলার মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিলো এটি। কিন্তু অশ্লীলতা আর তথ্য প্রযুক্তির বিকাশে এ শিল্পে এখন চলছে ভাটার টান। তারপরও কিছু কিছু শিল্পী ধরে রেখেছেন গ্রামীণ সেই ঐতিহ্য। এখনও কোথাও কোথাও দেখা মেলে যাত্রা পালার আয়োজন।

এ শিল্পের হারনো গৌরব ফিরিয়ে আনতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেহেরপুরের ডঃ শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে অণুষ্ঠিত হলো ৯ দিনব্যাপী যাত্রা উৎসব। করোনার পর মঞ্চে অভিনয় করতে পেরে খুশি যাত্রাশিল্পীরা। তারা বলছেন, ঝিমিয়ে পড়া এ শিল্পকে চাঙ্গা করতে দরকার সবার সহযোগীতা।

যাত্রাশিল্পি আবুল হোসেন, শান্তা, যমুনা রানি বলেন, অশ্লীলতার ভীড়ে যাত্রা শিল্প এখন আর আগের মতো নেই। আমরা শুধুমাত্র যাত্রা অভিনয় করেই জীবীকা নির্বাহ করি। কিন্তু এখন কাজ না থাকায় আমরা আর অভিনয় করতে পারি না। আমারা খুবই অসহায় অবস্থায় দিন পার করছি।

দর্শকরা জানান, অনেকদিন পর এমন আয়োজন দেখতে পেরে অনেক খুশি। মানুষের বিনোদনের জন্য পাড়া মহল্লায় কিংবা গ্রাম গঞ্জে এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত প্রয়োজন বলে দাবি তাদের।

মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বলেন, যাত্রা শিল্পকে পুনরুজ্জিবত করার লক্ষে আমাদের এ ধরনের আয়োজন। সরকারি সহযোগিতা পেলে প্রতি বছরই এমন আয়োজন করা হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০