মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী (মেহেরপুর): মেহেরপুরে অধিকাংশ পরিবারের সবজির চাহিদা মেটাচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে গড়ে তোলা এই পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সুফল পাচ্ছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। কৃষকের বাড়ির আঙিনায় পড়ে থাকা পরিত্যক্ত জায়গায় নির্মিত পুষ্টি বাগানগুলো এখন ভরে উঠেছে শীত ও গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন শাকসবজিতে। বাগানগুলোর বিষমুক্ত টাটকা সবজি দিয়ে উদ্যোক্তরা তাদের পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবজি প্রতিবেশীদের মাঝে বিতরণ করাসহ বিক্রি করে অন্যান্য হাটবাজার সারছেন অনেকে।
মেহেরপুর জেলার মাটি সবজি উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী। সবজি উৎপাদনের জন্য যে ধরনের মাটি ও আবহাওয়া দরকার তার সবই আছে মেহেরপুরে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে ও পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে কৃষি বিভাগ কৃষকদের বাড়ির আঙিনার পড়ে থাকা পরিত্যক্ত জায়গায় জেলার দুটি পৌরসভাসহ ১৮টি ইউনিয়নের ৮৭৬টি পরিবারে গড়ে উঠে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।
প্রথম দিকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হলেও এখন সরবরাহ করা হচ্ছে সব ধরনের বীজসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি। ফলে বাড়ির আঙিনায় পড়ে থাকা পরিত্যক্ত জায়গায় নির্মিত পুষ্টি বাগানগুলো এখন ভরে উঠেছে বিভিন্ন সবজিতে। কিষাণ-কিষাণীরা এখন তাদের বাগানের সবজি দিয়ে নিজেদের পারিবারিক চাহিদা মিটিনোসহ প্রতিবেশীদের মাঝে বিতরণ ও বিক্রি করতে পেরে খুশি। বর্তমান বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পারিবারিক এই পুষ্টি বাগানই মিটাচ্ছে তাদের সবজির চাহিদা। ফলে দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান।
সদর উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের পুষ্টি বাগান চাষি করিম জানান, কৃষি বিভাগের সহায়তায় বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত যায়গায় কীটনাশকমুক্ত সবজি চাষ করেছেন। এই সবজি নিজেরা খান ও প্রতিবেশীদেরও দিয়ে থাকেন। বাজার থেকে আর সবজি কিনতে হয় না। আবার অনেক সময় বাজারে বিক্রিও করেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না’। এটি প্রধানমন্ত্রীর একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প। এই প্রকল্পে কৃষকরা সারা বছর ধরে নানা ধরনের সবজি পাবে এই পারিবারিক পুষ্টি বাগান থেকে। পরিত্যক্ত প্রতিটি বাড়ির আঙিনা যাতে এই পুষ্টি বাগান গড়ে উঠে তার জন্য কৃষি বিভাগ বিভিন্ন সহযোগিতার পাশাপাশি পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।