মে মাসে আসছে ৭৫ লাখ কলেরা ভ্যাকসিন

নিজস্ব প্রতিবেদক: কলেরা বা ডায়রিয়ার প্রকোপ রোধে ১০-১৫ মে’র মধ্যে ৭৫ লাখ কলেরা ভ্যাকসিন দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন (৭৫ লাখ) কলেরা ভ্যাকসিন দেবে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরষদ সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্ধারিত আলোচনার বাইরে কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বর্তমান কলেরা সিনারিও নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। এটা কেন হলো, এটা আমিও ব্যক্তিগতভাবে ১০-১২ দিন ধরে ট্র্যাক করছি। আইসিডিডিআরবি, আইইডিসিআর, ডিজি হেলথ তারপর ওয়াসা, তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমরা যেটা দেখলাম, ঢাকায় গত ২০-২৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এ ধরনের ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়নি। 

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) আমাদের ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন (৭৫ লাখ) কলেরা ভ্যাকসিন দেবে। এর দুই ডোজ নিলে ৩ বছর পর্যন্ত কলেরা বা ডায়রিয়া থেকে নিরাপদ থাকা যাবে। এটা মে মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে চলে আসবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মূলত শুকনো মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া হতো। এখানেও হয়েছে, এর কয়েকটি কারণ আমরা বের করেছি। বিষয়গুলো কেবিনেটেও আলোচনা হয়েছে। আমরা যাচাই করে দেখলাম, ওয়াসা যে পানি দেয়, তার পাম্পে কোথাও ব্যাকটেরিয়া নেই। কোনো পাম্পের পানিতেই ব্যাকটেরিয়া নেই। মূল সমস্যা পাইপলাইন। পাইপলাইনের লিক দিয়ে ব্যাকটিরিয়া প্রবেশ করছে। 

প্রায় সব জায়গাতেই ডায়রিয়া হয়েছেÑজানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কয়েকটি জায়গায় এবার একটু বেশি হলো। আরেকটি বিষয় যেটা বিশেষজ্ঞরা আমাদের বলেছেন, কয়েকটি জায়গায় তারা পানি টেস্ট করে দেখেছেন, ক্লোরিনের একটু ঘাটতি আছে। এটাও এই পরিস্থিতির একটি বড় কারণ। এটা সঙ্গে সঙ্গে ওয়াসাকে পয়েন্ট আউট করার ফলে তারা গিয়ে ক্লোরিনের মাত্রা ঠিক করেছে, এটা এখন ঠিক হয়ে গেছে।

আরেকটি বিষয় প্রধানমন্ত্রী রিকোয়েস্ট করেছেনÑউল্লেখ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মানুষ ট্যাংকগুলো পরিষ্কার করে না। এই রিসার্ভারগুলো যদি ৩ মাস বা ৬ মাস পর পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া ডেভেলপ করবে। এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। সবাইকে একটু মোটিভেট করতে হবে। ওয়াসাকে বলা হয়েছে, আমরা পিআইডিকেও বলে দিচ্ছি, তারা এখন থেকেই ম্যাসিভ প্রোমোশন ক্যাম্পেইন করবে। 

তিনি বলেন, আমাদের সৌদি আরব, কুয়েত কাতার থেকে জানানো হয়েছে যে, তোমাদের লোকজন যারা আছে, তাদের অনেকের মধ্যে আমরা ডায়রিয়ার জীবাণু পাচ্ছি। এটার একটা কারণ হয়, গ্রামের পানিতে কিন্তু ব্যাকটেরিয়া নেই। আমাদের টেকনিক্যাল লোকজন যেটা বলছে, যারা বিদেশে যান তারা এয়ারপোর্টের আশপাশে দু’তিন দিন থাকেন, ছোটখাটো হোটেলগুলোতে। আমরা গত ১০-১২ দিন ধরে ইতোমধ্যে ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি, এখন তারা অপারেশন চালাচ্ছেন। ওয়াসার টিম গিয়ে দেখছে, হোটেলের পানি কেমন। আক্রান্তের একটি বড় অংশ কিন্তু যারা বাইরে খায়, মেসে খায়, তারই বেশি অ্যাফেকটেড হচ্ছে। বাসার লোকরা কম অ্যাফেকটেড হচ্ছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০