নিজস্ব প্রতিবেদক: মোংলা বন্দরের বে-টার্মিনালের পরিধি বাড়িয়ে কুমিরা পর্যন্ত সম্প্রসারণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৈঠকে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ওই এলাকায় একটি বিমানবন্দর নির্মাণের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য রণজিৎ কুমার রায়, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এসএম শাহজাদা অংশ নেন।
বৈঠকের শুরুতে সভাপতি ১৭ মার্চ অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে স্বল্প পরিসরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন এবং জনগণ এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণ করা হয়। সভাপতি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। বৈঠকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও এর অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে অবহিত করা হয় যে, প্রকল্প এলাকায় যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বন্দরে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এতে পরিবারগুলো উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত জনবলের কারণে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
বৈঠকে বন্দরের নিকটবর্তী স্থানে একটি বিমানবন্দর থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়। এ বিষয়ে এর আগেও কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। বন্দরের বিদ্যমান রাস্তাগুলোকে আরও প্রশস্ত ও উন্নত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। এর দু-একটি রাস্তাকে রানওয়ে হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং পাশে বিমানের অফিস থাকতে পারে। তাতে খরচও কম হবে। তিনটি বন্দরেই যাতায়াতের সুবিধার জন্য হেলিকপ্টার ও হোভারক্র্যাফটের ব্যবস্থা থাকা উচিত বলে মতামত ব্যক্ত করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এ ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানানো হয়।