Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 4:32 am

মোট লেনদেনে ৪৯% অবদান তিন খাতের

মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে আবারও খাতভিত্তিক লেনদেনে মন দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গত কয়েক দিনের বাজারচিত্রে এমন পরিস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। গতকালের বাজারচিত্রেও এমন পরিস্থিতি দেখা যায়।

বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গতকাল লেনদেনে এগিয়ে ছিল ওষুধ ও রসায়ন, বিবিধ এবং ব্যাংক খাতের কোম্পানি। লেনদেনের প্রায় অর্ধেকই ছিল এই তিন খাতের কোম্পানির দখলে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। গতকাল সারা দিনই এ খাতের কোম্পানিগুলো একক আধিপত্য বিস্তার করে। তবে লেনদেনের শুরুতে এ খাতের শেয়ারদর বৃদ্ধি পেলেও পরে ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমে যায়। ফলে কম মুনাফা হলেও শেয়ার ছেড়ে দেন অনেক বিনিয়োগকারী। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় প্রায় ২৮ শতাংশ।

এদিকে ওষুধ ও রসায়ন খাতের পর গতকাল লেনদেনে এগিয়ে ছিল ব্যাংক খাত। সারা দিনই এ খাতের কোম্পানির শেয়ারে আগ্রহ ছিল বিনিয়োগকারীদের। তবে এ খাত ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতের বিপরীত অবস্থানে। সকাল থেকেই এ খাতের কোম্পানিতে ক্রেতাদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়। ফলে দিন শেষে দর বাড়ে এ খাতের তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের। মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখা যায় ১১ শতাংশ।

গতকালের লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বিবিধ খাতের কোম্পানি। দীর্ঘদিন এ খাতের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের তেমন আগ্রহ না দেখা গেলেও সম্প্রতি এ খাতের শেয়ারে ঝুঁকেছেন তারা, যে কারণে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এ খাতটি। গতকাল মোট লেনদেনে এ খাতের কোম্পানির অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১০ শতাংশ।

অন্যদিকে গতকাল দিনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি সূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও শেষের দিকে শেয়ারদর পতনের পাশাপাশি সূচকও নি¤œমুখী হতে শুরু করে। তবে দিন শেষে সূচকের পতন ঘটেনি। লেনদেন শেষ হয় সূচকের পাঁচ পয়েন্ট ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায়। দিন শেষে সূচক স্থির হয় চার হাজার ৮৭৯ পয়েন্টে। তবে বিক্রির চাপে লেনদেন আগের চেয়ে বৃদ্ধি পায়। দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ১৬৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর আগের কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯০৭ কোটি টাকা।