মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ: বিমা খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের বাছবিচার ছাড়া বিনিয়োগ চলছেই। ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা পরোক্ষভাবে এই ধরনের বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকতে বললেও শুনছেন না বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারদর বাড়লেও দিনের পর দিন এই খাতের কোম্পানির শেয়ারেই আস্থা রাখছেন তারা।
সম্প্রতি প্রতিদিনই লেনদেনে বিমা খাতের কোম্পানির আধিপত্য দেখা যাচ্ছে। এক সপ্তাহ ধরে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখা যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪২ শতাংশের মধ্যে। গতকাল তা ৪৯ শতাংশ পেরিয়ে গেছে।
গতকালের বাজার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, লেনদেনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একক আধিপত্য ছিল বিমা খাতের কোম্পানির। অন্যান্য দিনের মতো গতকালও বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে থাকার কারণে বাড়তে দেখা যায় বিমার বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। দিন শেষে মোট লেনদেনে বিমা খাতের একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় ৪৯ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ।
এদিকে বিমা কোম্পানির একক আধিপত্যের কারণে বিবর্ণ ছিল অন্যান্য খাত। এসব খাতের মধ্যে ওষুধ ও রসায়ন খাতে বিনিয়োগকারীদের সামান্য আগ্রহ দেখা যায়। দিন শেষে মোট লেনদেনে এই খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১০ শতাংশের কম। পরের অবস্থানে থাকা প্রকৌশল খাতেরও মোট লেনদেনে অবদান দেখা যায় ১০ শতাংশের কম।
অন্যদিকে গতকাল লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পতন হতে থাকে। তবে লেনদেনে শেষে অপরিবর্তিত থাকে সূচক। অর্থাৎ সূচক আগের দিনের জায়গায় চার হাজার ৯১৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এদিকে গতকাল কিছুটা কমতে দেখা যায় ডিএসইর লেনদেন। দিন শেষে ডিএসইতে মোট ৮৫৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হতে দেখা যায়। এর আগের কার্যদিবসে ডিএসইতে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৯১৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর ৮৫৫ কোটি টাকার মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ২০ কোটি টাকার। এদিন ব্লক মার্কেটে ২২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৭৯ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৪টি শেয়ার ৪৪ বার হাত বদল হয়। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২০ কোটি ৩৯ লাখ ৫৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ সাত কোটি ৯২ লাখ ৮৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এনএলআই ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার ব্র্যাক ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ দুই কোটি দুই লাখ ৬৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয় পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের।
