নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যাংক ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রোভাইডারদের মধ্যে আন্তঃলেনদেন চালু করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ বা মাশুল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। যেসব ব্যাংকের ইন্টারঅপারেবিলিটি বা আন্তঃলেনদেন প্রক্রিয়া এখনও চালু হয়নি, তাদের আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে আন্তঃলেনদেন প্রক্রিয়া চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, দেশে নগদ অর্থ লেনদেন হ্রাসের লক্ষ্যে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) অবকাঠামো ব্যবহার করে সব ব্যাংক এবং এমএফএস প্রোভাইডারদের মধ্যে ইন্টারঅপারেবল বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সফলভাবে পাইলট টেস্টিং সম্পন্নকারী ব্যাংক ও এমএফএস প্রোভাইডারগুলো আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ইন্টারঅপারেবল ব্যবস্থায় লাইভ লেনদেন শুরু করবে। যেসব ব্যাংক ও এমএফএস প্রোভাইডার অদ্যাবধি ইন্টারঅপারেবল-সংক্রান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারেনি, তাদের ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ইন্টারঅপারেবল ব্যবস্থায় লাইভ লেনদেন শুরু করতে হবে। ইন্টারঅপারেবল ব্যবস্থা বাস্তবায়নের প্রথম ধাপে এক এমএফএস হিসাব থেকে অন্য এমএফএস হিসাবে, এমএফএস হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে এবং ব্যাংক হিসাব থেকে এমএফএস হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইন্টারচেঞ্জ ফি’র হারও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এক এমএফএস প্রোভাইডারের হিসাব থেকে অন্য এমএফএস প্রোভাইডারের (পি-টু-পি) হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে প্রাপক এমএফএস প্রোভাইডার প্রেরক এমএফএস প্রোভাইডারকে সাকুল্যে লেনদেনকৃত অর্থের ০.৮০ শতাংশ বা এক হাজারে আট টাকা ফি প্রদান করবে। ব্যাংক হিসাব থেকে এমএফএস হিসাবে এবং এমএফএস হিসাব থেকে ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের উভয় ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট এমএফএস প্রোভাইডার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে সাকুল্যে লেনদেনকৃত অর্থের ০.৪৫ শতাংশ বা এক হাজারে চার টাকা ৫০ পয়সা ফি প্রদান করবে এবং ইন্টারঅপারেবল লেনদেনের জন্য অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও এমএফএস, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যমান লেনদেন ফি’র অতিরিক্ত কোনো চার্জ ধার্য করতে পারবে না। ইন্টারঅপারেবল ব্যবস্থায় লেনদেনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/এমএফএস হিসাবের প্রকরণ অনুসারে নির্ধারিত লেনদেন সীমা প্রযোজ্য হবে।