Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 12:05 am

মোবাইল ব্যাংকিং করতে দোকান খোলা রাখা যাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক: তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন ও অন্যান্য ভাতা দেয়া হবে মোবাইলের মাধ্যমে। এজন্য প্রতি কর্মীকে আর্থিক সেবা দাতা প্রতিষ্ঠানে (এমএফএস), যা আমাদের দেশে মোবাইল ব্যাংকিং নামে পরিচিত। এমএফএস সেবাদাতা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে একটি হিসাব খোলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কিন্তু সরকারি নির্দেশনায় নির্দিষ্ট কিছু দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এর আওতায় মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক আর্থিক সেবা দাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফস) নেই।
আজ (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এসব দোকান, আউটলেট খোলা রাখার ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে।

একইসঙ্গে এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের চলাচল করতে দিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে।

এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এই নির্দেশনাটি সরকারি অন্যান্য সংস্থার কাছেও পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে এমএফএস সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (বিকাশ, রকেট, শিওর ক্যাশ, নগদ, এম ক্যাশ ও অন্যান্য) এর আউটগুলো খোলা রাখা যাবে।

বাংলাদেশে এই সেবাটি সর্বপ্রথম চালু হয় ২০১০ সালে। এটি এমএফস সেবা হলেও মোবাইল ব্যাংকিং নামে পরিচিতি পাচ্ছে। এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশ্বে মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবাদাতার ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

এগুলো হচ্ছে ব্যাংক মডিউল ও অন্যটি হচ্ছে টেলিকম মডিউল অর্থাৎ ব্যাংক ও টেলিকম বা মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে এই সেবা পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশে ব্যাংক লেড মডিউল অনুসরণ করা হয়। ফলে এমএফএস সেবা ব্যাংকবহির্ভূত কোনো প্রতিষ্ঠান দিতে পারে না।

সর্বপ্রথম ২০১১ সালের মার্চে প্রথম সেবাটি চালু করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। পরে এই সেবার নাম দেওয়া হয় রকেট। বর্তমানে ১৬টি ব্যাংক মোবাইলের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন নামে এই সেবা দিচ্ছে।

মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনে সবচেয়ে বেশি বাজার রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশের। বাজারের ৭০ শতাংশের বেশি বিকাশের নিয়ন্ত্রণে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি শেষে দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের মোট মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৮১ হাজার ৫৩৭টি। ডিসেম্বরে এ মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ৪২ হাজার ১০৩ কোটি ২২০ লাখ টাকা।

মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিলিটি বিলসহ অনেক ধরনের চার্জ পরিশোধ সুবিধা যুক্ত হওয়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এ লেনদেন।##