দ্রুততম সময়ে লেনদেনের জনপ্রিয় মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং। এ সেবার আওতায় রেমিট্যান্সের অর্থ, বেতন-ভাতা ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে। গতকাল শেয়ার বিজে প্রকাশিত ‘মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব চার কোটি ছাড়িয়েছে’ শিরোনামে খবরটি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকবে। এতে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক গড়ে ৭৭৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। পুরো মাসে হয়েছে ২৩ হাজার ২১৩ কোটি টাকা। এর মানে আগের মাসের চেয়ে ডিসেম্বরে বেড়েছে লেনদেন।
ব্যাংকগুলো গ্রাহকের চাহিদা পূরণে নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। গ্রাহক সুবিধার জন্যই তারা অনলাইনের প্রসার ঘটাচ্ছে। এর সুফলও পাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনে সবারই সুবিধা হয়। সরকার দেশকে ডিজিটাইজ করতে সব খাতকে অনলাইনে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এজন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইন ব্যবহারোপযোগী করা হচ্ছে। সরকার ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে ইন্টারনেট সুবিধা। বেসরকারি সিংহভাগ প্রতিষ্ঠানও তাদের কার্যক্রম অনলাইনে করছে। এ ব্যাপারে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি এগিয়ে।
ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স, ক্যাশইন ট্রানজেকশন, ক্যাশ আউট ট্রানজেকশন, পিটুপি ট্রানজেকশন, বেতন-ভাতা বিতরণ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ সেবা দিয়ে থাকে মোবাইল ব্যাংকিং। এছাড়া স্কুল-কলেজের টিউশন ফি পরিশোধসহ নানা সেবা দিচ্ছে মাধ্যমটি। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ২০টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন নিয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি সেবা দিচ্ছে। অন্য ব্যাংকগুলোও সেবা চালুর অপেক্ষায় বলে জানা গেছে। বিভিন্ন নামে সেবা দিয়ে যাচ্ছে এসব ব্যাংক। এর মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। ব্যাংকগুলোর এ সেবার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সুবিধা নিচ্ছে সহজেই। গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২০ সাল নাগাদ দেশে মোবাইল ব্যাংকিং বিল পেমেন্ট সুবিধা গ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় দুই কোটি ২০ লাখ। আর মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় পাঁচ কোটি, যা দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনি অভিযোগও কম নয়। সম্প্রতি এর মাধ্যমে সন্ত্রাস বা জঙ্গি কার্যক্রমে লেনদেনের খবর রটেছে। পরে এটা রোধে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দ্রুত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় প্রযুক্তির এ সেবা সহজেই পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্টরা কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন, আশা রাখি।
Add Comment