Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 8:55 pm

‘মোস্তাফিজের সঙ্গে যা হচ্ছে সেটা স্বাভাবিক’

ক্রীড়া প্রতিবেদক: অভিষেকের পর থেকে এক বছর দুর্দান্ত ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। সে সময় কাটার, সেøায়ার, সুইং ও বাউন্সে এ বাঁহাতি পেসার যে কোনো প্রতিপক্ষের জন্যই হয়ে উঠেছিলেন বিপদের কারণ। তার হাত ধরে টাইগাররা পেয়েছিল বেশ কিছু স্মরণীয় জয়। কিন্তু কাঁধের ইনজুরি থেকে ফিরে নিজেকে ঠিক খুঁজে পাচ্ছেন না ‘দ্য ফিজ’। তবে তাতে চিন্তার কিছু দেখছেন না টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বরং তিনি বলছেন, তার সঙ্গে এখন যেটা হচ্ছে সেটাই স্বাভাবিক। এর আগে ও যেটা পেয়েছে সেটা ছিল অস্বাভাবিক।

আয়ারল্যান্ড ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে অংশ নিতে আজই দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। তার আগে গতকাল মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনের এক পর্যায়ে মোস্তাফিজকে নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমার মনে হয় ওর সঙ্গে এ মুহূর্তে যা হচ্ছে সেটা স্বাভাবিক। এর আগে ও যেটা পেয়েছে সেটা অস্বাভাবিক ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই আপনি ৪-৫ ম্যাচে ৩০ উইকেট পাবেন- এটা অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার। এখন যা হবে, ওকে কষ্ট করে উইকেট নিতে হবে।’

প্রযুক্তির সাহায্যে বর্তমান সময়ে একজন বোলার বা ব্যাটসম্যানের সব দিক দ্রুত পড়ে নেয় প্রতিপক্ষের ক্রিকেটাররা। যা থেকে বাদ পড়েননি মোস্তাফিজ। যে কারণে এ বাঁহাতি পেসারকে আগের মতো খেলতে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না ব্যাটসম্যানদের। যদিও এমনটা হওয়ার জন্য ম্যাশ দায়ী করছেন কাটার মাস্টারের চোটে পড়াকে। এ নিয়ে টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক বলেন, ‘ওকে পড়ছে ব্যাটসম্যানরা। প্রত্যেকটা দলে সেরা পর্যায়ের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট থাকে। ওর সব শক্তির দিক ওরা বের করছে। মোস্তাফিজের জন্য আরও বড় সমস্যা তৈরি করেছে চোট। তিন-চার মাস হলো চোট থেকে সেরে উঠেছে ও।’

বাংলাদেশ দলের বড় সম্পদ মোস্তাফিজ। যে কোনো মুহূর্তে জ্বলে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে তিনি তা দেখিয়েছেনও। তাই বর্তমানে মাশরাফিকে পাশে পাচ্ছেন ফিজ। এ মুহূর্তে তাকে চাপ না দিয়ে রিল্যাক্স রাখার কথা বললেন ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘ওর জন্য এখন পরিস্থিতি খুব কঠিন। আমরাও যদি ওকে একইভাবে চাপে রাখি তাহলে ওর জন্য আরও কঠিন হবে। এরই মধ্যে ও প্রমাণ করেছে, ভবিষ্যতের জন্য বাংলাদেশের বড় সম্পদ। আমরা যদি ওকে রিল্যাক্সে রাখতে পারি, আমাদের যে প্রত্যাশা, সেটা না করে যদি বাস্তবতা ভাবি, আমার মনে হয় মোস্তাফিজ  আমাদের জন্য আগামী ১০ বছরের জন্য দারুণ সম্পদ হবে।’