Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 3:01 pm

মৌলভিত্তির না এনে কেন খারাপ কোম্পানি আনা হচ্ছে?

বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়, খারাপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবেন না। মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করুন। এখানেই প্রশ্ন। তাহলে মৌলভিত্তির শেয়ার না এনে কেন খারাপ কোম্পানি আনা হচ্ছে! এতে অবশ্যই ডিএসই, সিএসই, বিএসইসি ও ইস্যু ম্যানেজাররা দায় এড়াতে পারেন না। তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়।

হাসিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক মুহাম্মদ মহসীন ও পুঁজিবাজারের টেকনিক্যাল অ্যানালিস্ট মো. রহমত উল্লাহ।

অধ্যাপক মুহাম্মদ মহসীন বলেন, যখন দেখা যাবে অর্থনীতির সঙ্গে পুঁজিবাজার সমান গতিতে চলছে না, তখন বুঝতে হবে বাজারে কোনো সমস্যা হচ্ছে। অর্থনীতির সঙ্গে পুঁজিবাজার সামঞ্জস্যহীনভাবে চলছে।   আসলে বাজারে কাঠামোগত অনেক সমস্যা রয়েছে। এখানে অনেক কিছু পরিবর্তন করা দরকার। সামান্য পরিবর্তনে বাজার গতিশীল হবে না। অন্যান্য পুঁজিবাজার লক্ষ করলে দেখা যায়, যখন ওইসব দেশের পুঁজিবাজারে সমস্যা সৃষ্টি হলে তাদের নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়, যাতে বাজার গতিশীল হয়। কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে ওপরের লেভেলে কিছু পরিবর্তন হয়েছে; কিন্তু অবকাঠামোর জায়গায় পরিবর্তন হয়নি। যার জন্য বাজারের এরকম অবস্থা। বাজারে প্রায় ৩৫টি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। এদের অবস্থা খুবই নাজুক। ন্যূনতম মুনাফাও করতে পারছে না। এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে, যারা এসব মিউচুয়াল ফান্ডের দায়িত্বে, তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে বিনিয়োগকারীর অর্থ নয়-ছয় করছেন। আসলে বাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অনেক ঘাটতি রয়েছে। এ বিষয়গুলো দূর না হলে মিউচুয়াল ফান্ড ভালো হবে না।  বিনিয়োগকারীদের বলা হয়, খারাপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করবেন না। মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারে বিনিয়োগ করুন। এখানেই প্রশ্ন। তাহলে মৌলভিত্তির শেয়ার না এনে বাজারে কেন খারাপ কোম্পানি আনা হচ্ছে? অবশ্যই এখানে ডিএসই, সিএসই, বিএসইসি ও ইস্যু ম্যানেজাররা দায় এড়াতে পারেন না। তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবেÑকেন তারা এ ধরনের খারাপ কোম্পানি বাজারে অনুমোদন দিলেন।

মো. রহমত উল্লাহ বলেন, আসলে বাজার যখন খারাপ অবস্থানে থাকে, তখন দেখা যায় স্বল্পমূলধনি কোম্পানির দর বাড়ে। যখন সূচক ইতিবাচক দেখা যায়, তখন মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারের দরও বৃদ্ধি পায়। 

   শ্রুতিলিখন: শিপন আহমেদ