Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 12:56 am

মৌলিক খাদ্যের দাম বেঁধে দেয়ার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীরা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সুপারমার্কেটগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা (সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষ) যেন নিজে থেকে পণ্যের দাম বেঁধে দেয়। তবে সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, পণ্যের দাম বাধ্যতামূলকভাবে বেঁধে দেয়া হবে না। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।

খাদ্য ও পানীয়ের দাম ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যের রাজস্ব বিভাগ ও সুপারমার্কেটগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে, কিছু মৌলিক পণ্যের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয়া যায় কি না। তবে সেটা চাপিয়ে দেয়া হবে না, সুপারমার্কেটগুলো স্বেচ্ছায় দাম বেঁধে দিতে পারে। এসব পণ্যের মধ্যে রুটি ও দুধ থাকতে পারে।

এভাবে পণ্যের দাম বেঁধে দেয়ার উদ্যোগ দেখে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, যুক্তরাজ্য সত্তরের দশকের মূল্য নিয়ন্ত্রণের যুগে ফেরত যাচ্ছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা বাধ্যতামূলক কিছু নয়, সুপারমার্কেটগুলোর ইচ্ছার ওপর তা ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে বলেন, আমি বুঝতে পারছি, সরকার গঠনমূলকভাবে সুপারমার্কেটগুলোর সঙ্গে কাজ করছেÑকীভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ে মানুষের প্রকৃত উদ্বেগ আমলে নেয়া যায়। তবে সেটা করতে গিয়ে সরকার সরবরাহকারীদের বিষয়টিও মাথায় রাখছে।

এর আগে ফ্রান্সের সরকারও এমন উদ্যোগ নেয়। দেশটির সরকার ও খাদ্য সরবরাহকারীরা প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য কিছু পণ্যের সম্ভাব্য সবচেয়ে কম দাম বেঁধে দেয়। এই ঐকমত্যের ভিত্তিতে খুচরা বিক্রেতারাই ঠিক করছেনÑকোন কোন পণ্য এর আওতায় আসবে, সেগুলোর প্যাকেটে বিশেষ লোগো থাকবে।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টের সঙ্গে দেশটির সুপারমার্কেট চেইনের বৈঠকে এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। একটি বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে, যে কর্মসূচিতে সুপারমার্কেটগুলো অংশ নিতে পারে।

যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের পরিবারগুলো কেমন চাপে রয়েছে, আমরা তা জানি। সামগ্রিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার কমে এলেও খাদ্যদ্রব্যের দাম এখনও বাড়তি। সেজন্য এ বিষয়ে আর কী করা যায়, তা বের করতে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী খাদ্যশিল্পের সঙ্গে বৈঠক করছেন।

যুক্তরাজ্যের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত এপ্রিল মাসে দেশটির সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এলেও খাদ্য ও অ্যালকোহলহীন পানীয়ের মূল্যস্ফীতি ১৯ শতাংশে উঠেছে, পশ্চিম ইউরোপে যা সর্বোচ্চ।