ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের শেয়ারদর বেড়েছে ২৮ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি ম্যাকসন্স স্পিনিং মিলস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে শেয়ারদর ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৪ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৪৫ লাখ ১৮ হাজার ৪৮৯টি শেয়ার মোট দুই হাজার ১৫৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ছয় কোটি ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ১৪ টাকা ও সর্বোচ্চ ১৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৯২ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ২ টাকা ৬৬ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৩ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় ৮৯ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১৯ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৬ টাকা ১১ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৮২ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ৬৪ পয়সা।

বস্ত্র খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ২৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৫৩৮ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ শেয়ার।

২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ৯৩ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ১১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ  হয়েছে ২৪ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৫ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ৯ পয়সা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২ টাকা ৭ পয়সা এবং ২০২১ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ২০ টাকা ৯ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পনিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল ২ টাকা ৮১ পয়সা।

এর পরের অবস্থানগুলোয় থাকা যথাক্রমে মেট্রো স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২১ দশমিক ১৪ শতাংশ। কে অ্যান্ড কিউ বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। তাওফিকা ফুডস অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম পিএলসির শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। ইনটেক লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৯১ শতাংশ। কেডিএস অ্যাকসেসরিজ লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। কাট্টলী টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এছাড়া ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেডের শেয়ারদও বেড়েছে ১০ দশমিক ৯৭ পয়সা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০