শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের পপ তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫৯ জন। স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কনসার্ট শেষ হওয়ার পরপরই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। যুক্তরাজ্যের পুলিশ ওই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ২৩ বছরের এক যুবককে আটক করেছে। খবর রয়টার্স, বিবিসি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ২৩ বছর বয়সী মার্কিন গায়িকা আরিয়ানা গ্রান্ডে তার পরিবেশনা শেষে মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার পরপরই অ্যারেনার প্রবেশপথের কাছে বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে।
এদিকে এ সন্ত্রাসী হামলা দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। গতকাল মঙ্গলবার আইএস এক বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করে। আর এ হামলায় বিশ্বনেতারা গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টেলিফোনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে সমবেদনা জানান। তিনি সন্ত্রাসীদের ‘ইভিল লুজারস’ আখ্যায়িত করে সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যুক্তরাজ্যের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ম্যানচেস্টারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার নিন্দা ও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী ছিলেন একজন। তিনি একটি ইম্প্র্রোভাইজ এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বহন করছিলেন এবং বিস্ফোরণে তিনি নিজেও নিহত হয়েছেন। যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের আড়াই সপ্তাহ আগে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি হামলাকারীদের ‘কাপুরুষ’ আখ্যায়িত করে ভোটের প্রচার স্থগিত রেখে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় গঠিত কোবরা কমিটির বৈঠক ডেকেছেন।
অন্য দলগুলোও নির্বাচনী প্রচার স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন টুইট করে হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ ইনডোর স্টেডিয়াম ম্যানচেস্টার অ্যারেনা কনসার্ট ভেন্যু হিসেবেও জনপ্রিয়। একসঙ্গে প্রায় ২১ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে।
ঠিক দুই মাস আগে ২২ মার্চ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে এক জঙ্গি হামলায় পুলিশসহ পাঁচজন নিহত ও ৪০ জন আহত হন। ২০০৫ সালেও লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে হামলায় ৫২ জন নিহত হয়।