নিজস্ব প্রতিবেদক: ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ অন্তর্বর্তীকালীন ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত তিন প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিচ্ছে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে কোম্পানিটি প্রথম ছয় মাসের জন্য (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। আর ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০১৯) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন ২৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। ৩১ মার্চ ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি সর্বমোট ৬৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে।
এদিকে কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ১৯ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ১৬ টাকা ৪৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ৩৬ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ৪০ টাকা ৪৯ পয়সা। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা ৪২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬১ টাকা ৮৮ পয়সা।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ বা ৯ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ৬৯০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৬৮৩ টাকা ১০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ এক হাজার ৬৭৩ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৭৪৯ টাকায় ওঠানামা করে। ওইদিন আট হাজার ২০৫ শেয়ার মোট ২০০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৭৪ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির তিন কোটি ১৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৯০ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক দুই দশমিক ৭৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ছয় দশমিক শূন্য তিন শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে এক দশমিক ১৯ শতাংশ শেয়ার।