Print Date & Time : 25 June 2025 Wednesday 2:47 pm

ময়মনসিংহ ও বরিশালে হচ্ছে ভ্যাট কমিশনারেট

মাসুম বিল্লাহ: নতুন শিল্প-কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বড় হচ্ছে জতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাজের আওতা। ক্রমবর্ধমান এ কার্যক্রমের সঙ্গে কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে এনবিআর। এর অংশ হিসেবে আরও দুটি কাস্টম, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম গতিশীল করতে সব জেলায় এনবিআরের নিজস্ব রাজস্ব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। গত মাসের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত এনবিআরের চলতি বছরের প্রথম বোর্ড সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

ওই সভায় কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সংস্কার এবং সম্প্রসারণের বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয় যেÑ খালনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের অধিক্ষেত্র অনেক বড়। বরিশাল বিভাগ এ কমিশনারেটের অধীন। তাই কাজে গতি আনতে বরিশালে পৃথক কমিশনারেট স্থাপন করা হবে। এছাড়া গাজীপুর এবং ময়মনসিংহের ভালুকা ও ত্রিশাল এলাকায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে রাজস্ব আহরণের কার্যক্রম চলে ঢাকা উত্তর কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে। সেখানে কাজের চাপ কমাতে ময়মনসিংহে পৃথক কমিশনারেট করা হবে।

একই সঙ্গে ঢাকার নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণের বিষয়ে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্য কমিশনারেটগুলোর সংস্কার ও পুনর্গঠনে ঢাকা পশ্চিম কমিশনারেটের কমিশনার ড. শহিদুল ইসলাম কাজ করছেন বলে সভায় জানানো হয়। আর আয়কর বিভাগে মোট আটটি মনিটরিং কমিশনারেট, একটি কেন্দ্রীয় অডিট কমিশনারেট এবং খুলনা কর অঞ্চলের চাপ কমাতে কুষ্টিয়া, যশোর ও ফরিদপুরে তিনটি নতুন কর কমিশনারেট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে বিভিন্ন সময় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের জব্দ করা বিলাসবহুল গাড়িগুলোর বিক্রির জন্য নিলামে ক্রেতা না পাওয়ায় সেগুলো এনবিআরের সদস্য পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ব্যবহারে উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান শেয়ার বিজকে বলেন, কয়েক দফা নিলামে পর্যাপ্ত দাম না পাওয়ায় গাড়িগুলো সরকারের ভিআইপি পুলে হস্তান্তরের বিষয়ে এনবিআরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এখন বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রত্যেক জেলায় কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের নিজস্ব ভবন নির্মাণের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়। এরই মধ্যে শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগের জেলা পর্যায়ে নিজস্ব ভবন নির্মাণের বিষয়ে জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর আয়কর বিভাগের জেলা পর্যায়ে ভবন নির্মাণের বিষয়ে প্রকল্প প্রস্তাব অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।