দেরি করে খাওয়া, দেরি করে ঘুমানো এই কুঅভ্যাসের বশ দেশের অনেক মানুষ। এজন্য বিপদের নেই কোনো শেষ। কেননা এ অভ্যাস বারোটা বাজিয়ে দেয় হার্টের। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনার পাশপাশি স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে রাত ১০টার আগে রাতের খাবার সেরে ফেলা উচিত। তাদের মতে, এটাই রাতের খাবারের আদর্শ সময়। এরপরে ডিনার করলে বাড়ে বিপদ। অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। বাড়ে রক্তচাপ। এতে শরীরের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। আমাদের দেহ সাধারণত একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলে। এই নিয়মের হেরফের হলেই শরীরের দফারফা হয়ে যা। তাই শরীর ঠিক রাখতে ঠিক সময়ে পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। একই সঙ্গে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
একটি মার্কিন গবেষণা বলছে, বেশি রাতে খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়া উচিত নয়। এতে খাবার হজম হয় না। বদহজমের কারণে বারবার ঘুমও ভেঙে যেতে পারে। ধীরে ধীরে ইনসোমনিয়ার মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। বেশি রাতে ডিনার করলে স্মৃতিশক্তির ওপরও প্রভাব পড়ে। ভবিষ্যতে অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগ হতে পারে। তাছাড়া পরের দিন সকালে খিদেও পায় না, ফলে নাশতা বাদ পড়ে। অথচ সারা দিনের খাওয়ার মধ্যে ব্রেকফাস্টই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।