Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 11:08 pm

যমজ শিশুর মৃত্যুতে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: যমজ নবজাতক সন্তান নিয়ে তিনটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন মা সায়েরা খাতুন। কিন্তু চিকিৎসাসেবা না পেয়ে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনায় তিনটি হাসপাতালের কাছেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট।

গতকাল বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। হাসপাতাল তিনটি হলোÑবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও রাজধানী ঢাকার ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল মুগদা শাখা।

জানা গেছে, গতকাল সকালে সুপ্রিম কোর্টের এমএলএসএস মো. আবুল কালাম আজাদের সন্তানসম্ভাবা স্ত্রী সায়েরা খাতুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে মুগদা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়ার পথে সিএনজির মধ্যে যমজ সন্তান প্রসব করেন। পরে তারা প্রসূতিকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতকদের শ্যামলীতে অবস্থিত ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিতে বলে। দুই নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্সে করে শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার বিষয়ে উচ্চ আদালতের অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, শিশু হাসপাতাল আইসিইউ খালি নেই বলে জানানো হয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। তারা বলে, নবজাতকদের সাধারণ বেডে ভর্তি করতে হবে এবং এ জন্য দিনে প্রতি বাচ্চার জন্য পাঁচ হাজার করে টাকা লাগবে।

একেএম আমিন উদ্দিন মানিক আরও জানান, শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কথা শোনার পর আবুল কালাম আজাদ হাইকোর্টের এক বিচারপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নবজাতকদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে আসতে বলেন বিচারপতি এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

পরে আবুল কালাম তার যমজ শিশুদের বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে আসেন এবং পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তাকে জানান, পরিচালক মিটিংয়ে আছেন। পরে জানানো হয়, পরিচালক বাসায় চলে গেছেন। এরপর পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা একজন ডাক্তারকে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে থাকাবস্থায় নবজাতকদের দেখান। ডাক্তার পরীক্ষা শেষে বলেন, যমজ নবজাতক আর বেঁচে নেই। তখন আবুল কালাম আজাদ অ্যাম্বুলেন্সে নিহত সন্তানদের মরদেহ উচ্চ আদালত চত্বরে নিয়ে আসেন। এরপর আদালত এ আদেশ দেন।