Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 7:48 pm

যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপরে

প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ : উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি হুহু করে বাড়ছে। বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটছে নদী পাড়ের মানুষ। গত ১২ ঘণ্টায় শহররক্ষা হার্ড পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে জেলার অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, হুড়াসাগর ও চলনবিলের নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। দ্রæত পানি বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের নি¤œভ‚মি তলিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে যমুনার তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। অপরদিকে কাজিপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে গত ১২ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেরে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আশঙ্কা করছে চলতি মৌসুমে বড় ধরনের বন্যা না হলেও মাঝারি আকারের হতে পারে। গতকাল শুক্রবার সকালে সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিরাজগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানায়, গত ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে যমুনায় পানি বাড়ে। এক সপ্তাহ পরই পানি কমতে থাকে। এরপর ১৮ জুন থেকে আবারও দ্রæতগতিতে পানি বাড়তে থাকে। টানা পাঁচদিন বাড়তে থাকার পর ২২ জুন থেকে কমতে শুরু করে। ২৭ জুন স্থিতিশীল থাকার পর ২৮ জুন আবারও পানি বেড়েছে। ২৯ জুন আবার স্থিতিশীল হয়ে ৩০ জন সামান্য কিছুটা কমে যমুনার পানি। ১ জুলাই থেকে আবারও পানি বাড়তে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন, কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ি ও শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর এবং কৈজুরীতে তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এসব অঞ্চলের প্রায় ৮ শতাধিক বাড়ি-ঘর, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, দ্রæতগতিতে যমুনায় পানি বাড়ছে। বর্তমানে শহররক্ষা হার্ড পয়েন্ট ও কাজিপুর মেঘাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। পানি আরও চার থেকে পাঁচ দিন বাড়তে পারে। তবে পানি বাড়লেও বড় ধরনের বন্যা না হলেও মাঝারি বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার ভাঙনকবলিত এলাকার খোঁজ নিয়ে বালিভর্তি ব্যাগ জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।