প্রতিনিধি, যশোর: যশোরের কেশবপুর সহকারী জজ আদালতের বিচারকের কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার গভীর রাতে আদালত কক্ষে এ চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা বিচারক মোসা. নাজনীন সুলতানার কম্পিউটারের সিপিইউসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
আদালতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার কাজ শেষে কেশবপুর সহকারী জজ আদালতের কক্ষ তালাবদ্ধ করে চলে যান পেশকার মনিরুজ্জামানসহ অন্যরা। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পেশকার রোববার ও সোমবার (১১ মার্চ) ছুটি নেয়ায় ভারপ্রাপ্ত পেশকার হিসেবে দায়িত্ব পান শরিফুল আলম। রোববার সকালে তিনি আদালতে এসে দরজা খোলা দেখতে পান। এ সময় আদালত কক্ষে কেউ ছিলেন না। পিয়নকে ডেকে আনলে জানান তিনি তালা খোলেননি। এরপর বিষয়টি আদালতের বিচারক নাজনীন সুলতানাকে জানালে তিনি বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পেশকার শরিফুল আলম জানান, তিনি সকালে এসে আদালতের দরজা খোলা দেখতে পান। দরজার তালা লাগানো ছিল। তবে তালা লাগানোর হ্যাসবোল্টের নাট বল্টু খোলা ছিল। তিনি এই এজলাসে নতুন, ফলে কী কী খোয়া গেছে তা তিনি বলতে পারছেন না। পুলিশ কর্মকর্তারা এসেছিলেন তারা বিচারকের সঙ্গে কথা বলে গেছেন।
এ বিষয়ে জেলা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নাজির মো. বাবর আলী বলেন, বিচারকের কম্পিউটারের একটি সিপিইউ চুরি হয়েছে। এছাড়া কোনো কাগজপত্র চুরি হয়েছে কি না সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা মামলা করব। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর শুনে পুলিশের একটি টিম আদালতে যান। সেখানে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছে। যা যা চুরি হয়েছে; সেগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।