যশোরে আলুর বাজার অস্থিতিশীল সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী

মীর কামরুজ্জামান মনি, যশোর: যশোরে বেড়েই চলছে আলুর বাজার। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাষিদের হাত থেকে আলু কিনে বড় ব্যবসায়ী ও মজুতদাররা কোল্ডস্টোরেজে মজুত করে রেখেছেন। এসব মজুতদারই এখন আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, যে কারণে আলুর দাম বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার যশোর বাজারে খুচরা দোকানে ৩২ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হতে দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে যশোর বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকায়। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে জুন মাসের মাঝামাঝি আলু বিক্রি হয়েছে ২০ টাকায়। আর জুন মাসের শেষে বাজারে আলু বিক্রি হয়েছে ২৭ টাকায়।

এর সপ্তাহ খানেক পরই প্রতি কেজিতে তিন টাকা বেড়ে ৩০ টাকায় বিক্রি হতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার যশোর বড়বাজারে প্রতি কেজি আলু ৩২ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, আলুর দাম সামনে আরও বাড়তে পারে।

এ ব্যাপারে যশোর বড়বাজার এইচএমএম রোডের কালীবাড়ীসংলগ্ন কাঁচামালের আড়তদার ‘নিতাই গৌর ভাণ্ডার’-এর স্বত্বাধিকারী নিতাই চন্দ্র সাহা জানান, তিনি পাইকারিভাবে প্রতি কেজি আলু ২৮ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আলুর দাম ক্রমাগত বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, চাষির হাতে এখন আর আলু নেই। চাষির আলু কিনে বড় ব্যবসায়ীরা গোলা ও কোল্ডস্টোরেজে মজুত করে রেখেছেন। এসব ব্যবসায়ী এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন। যশোর বড়বাজারে বেশিরভাগ আলুর জোগান আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা কোল্ডস্টোরেজ থেকে বাজার টান রেখে আলু বের করছেন। যে কারণে বাজার অস্থিতিশীল বলে জানান তিনি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বৃষ্টির কারণে যশোর অঞ্চলে সবজির আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাজারে এর প্রভাব অব্যাহত আছে। এখনও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। অন্যদিকে যশোরে মধুখালীর কাঁচামরিচের জোগান কমে আসায় এর দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই বলে ব্যবসায়ীরা জানান। যশোর বড়বাজার, এইচএমএম রোড ও মাছবাজার রোডের পাশের দোকানগুলোয় বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ওল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, কাঁচাকলা ৬০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তাছাড়া বেগুন ৫০ টাকা, পটোল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৩০ টাকা ও বরবটি ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বৃষ্টিতে সবজির আবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জোগান কমে আসায় সবজির দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে আসছে না। আরও কিছুদিন সময় লাগবে নতুন আবাদ বাজারে আসতে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০