প্রতিনিধি, যশোর: যশোরের বাজারে খোলা সয়াবিন তেল ও চিনির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজিতে বেড়েছে আট টাকা। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিনের দামও বেড়েছে বলে জানান পরিবেশকরা, তবে বর্ধিত নতুন মূল্যের বোতলজাত সয়াবিন তেল এখনও যশোরের বাজারে আসেনি। এদিকে যশোরের বাজারে আমদানি করা সাদা দানার চিনি প্রতি কেজিতে বেড়েছে চার টাকা, আর লাল দানার দেশি চিনি কেজিতে বেড়েছে তিন টাকা।
যশোরের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সয়াবিন তেলের মধ্যে সাধারণত পামওয়েল ও সুপার তেল ভেজাল দেওয়া হয়। কারণ এগুলোর দাম সয়াবিনের চেয়ে কম। শীতকালে পামওয়েল ও সুপার জমে যায় বলে সয়াবিনের সঙ্গে ভেজাল দেওয়া সম্ভব হয় না। সে কারণে দাম বৃদ্ধি। তবে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন সয়াবিন তেল ও চিনির আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার যশোর বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৮৭ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সয়াবিন তেলে দাম বেড়েছে আট টাকা। আর পামতেল বিক্রি হচ্ছে ৮২ টাকা কেজি, গত সপ্তাহে ছিল ৭৮ টাকা। তাছাড়া বাজারে আমদানি করা সাদা দানার চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা, আর দেশি সরকারি মিলের লাল দানার চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে সাদা চিনি ৫৮ টাকা ও লাল চিনি ৫৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাদা চিনিতে চার টাকা ও লাল চিনিতে তিন টাকা বেড়েছে।
মেঘনা গ্রুপের ফ্রেশ ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেলের যশোরের পরিবেশক সেলিম রেজা জানান, খোলা তেলের দাম বাড়তি ও সরকার ট্যাক্স বৃদ্ধি করায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। তিনি আরও জানান, বোতলের গায়ে আগের লেখা খুচরা মূল্যে (এমআরপি) এখনও সয়াবিন তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে নতুন বর্ধিত মূল্যের তেল বাজারে চলে আসবে। তবে খুচরা দোকানিরা বলছেন বড় কোম্পানিগুলোর নতুন বর্ধিত মূল্যের বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারে আসার আগেই পরিবেশকরা তাদের দেওয়া ছাড় অনেক কমিয়ে দিয়েছেন।
যশোরে খোলা সয়াবিন তেলের পাইকারি বিক্রেতা কুণ্ড অয়েল মিলের স্বত্বাধিকারী রবিন কুণ্ড জানান, তিনি বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি সয়াবিন তেল বিক্রি করেছেন ৯২ টাকা ৩৯ পয়সা, আর পাম তেল বিক্রি করেছেন ৭৮ টাকায়।
