প্রতিনিধি, যশোর: যশোর মণিহার সিনেমা হলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অবরোধের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাসটি পার্কিং অবস্থায় থাকার কারণে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিক নেতারা জানান, রাত পৌনে ১১টার দিকে বিআরটিসি কাউন্টারের সামনে থাকা একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৬৭৬৮) হঠাৎ করেই জ্বলতে থাকে। আগুন লাগার খবর পেয়ে পরিবহণ শ্রমিক ও তাদের নেতারা, পুলিশ, ডিবি ও র?্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ২৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু ৫-৭ মিনিট পর বাসের ভেতরে আবারও আগুনের ফুলকি দেখা গেলে এরপর আরও ১৫ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
বাসটি যাত্রী নিয়ে শুক্রবার সকাল ৭টায় মণিহার থেকে ভোলার চরফ্যাশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে বৃহস্পতিবার রাতে বাসটি শহরের মণিহার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এনে পার্কিং করে রাখেন চালক।
বাসটির চালক মিলন হাওলাদার জানান, তিনি গাড়িটি পার্কিং করে রেখে গোসল করতে যান। এর মধ্যেই আগুনের খবর পেয়ে ছুটে আসেন। এসে দেখেন গাড়ির পেছনে ও উপরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।
গাড়ির হেলপার মাসুম বিল্লাহ জানান, ভোলায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে পার্টসপাতি তোলার পর তিনি সামনের দিকে যান। এর মধ্যে লোকজনের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তিনি ফিরে এসে দেখেন বাসে আগুন জ্বলছে। কারা আগুন দিলো বা কীভাবে আগুন ধরল তা তিনি দেখেননি।
যশোর জেলা পরিবহন সংস্থা প্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুণ অর রশিদ ফুলু বলেন, বিআরটিসির বাসটি কাউন্টার থেকে একটু দূরে বিপরীত দিকে পার্ক করে রাখা ছিল। সেখানে তেমন লোকজনের উপস্থিতি ছিল না। আমরা মণিহারের পাশেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি বাসে আগুন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, তারা কাউকে বাসে আগুন দিতে দেখেনি। কাউকে পালিয়ে যেতেও দেখেনি।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে আমরা বুঝতে পারছি না। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা কাউকে আগুন লাগাতে বা দৌড়ে যেতে দেখেনি। তারপরও বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।