প্রতিনিধি, যশোর: যশোরে মধ্যরাতে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ চার বিএনপি নেতার বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে’ হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপি নেতারা জানান, রাত দেড়টার দিকে একদল লোক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাসার সামনে জড়ো হয়ে ‘জয় বাংলা সেøাগান দিয়ে’ বাড়ির ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে বাড়ির কাচের জানালাগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এরপর যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান খানের বাসভবনে একইভাবে সেøাগান দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি দল মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল নিয়ে হামলায় অংশ নেয়।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, ‘শুক্রবার রাত ১টার দিকে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ রাত ২টার কিছু সময় আগে জানালা ভাঙচুরের শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠি। জানালায় উঁকি দিয়ে দেখি ৩০ থেকে ৩৫ জন যুবক বাড়িতে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারছে। কিছু সময় পর তারা চলে যায়। পরে নিচে নেমে দেখি সেভেন আপের বোতল ও ইট দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় আমি ৯৯৯-এ ফোন করার পর কিছু পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে গেছে।’
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে আকস্মিক একদল লোক আমাদের বাসার সামনে জড়ো হয়। এরপর জয় বাংলা সেøাগান দিয়ে বাড়ির ভেতরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে বাড়ির কাচের জানালাগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। হামলার বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবির ওসি রুপম কুমার সরকার জানান, হামলার বিষয়ে পুলিশ কোনো অভিযোগ পায়নি।
এদিকে, গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়ায় বিএনপির মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং একটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাইদ হোসেন পলাশ নামে বিএনপির এক নেতা আহত হয়েছেন। এ ছাড়া একজনকে ধরে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।