Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 3:49 pm

যশোর বোর্ডে এসএসসিতে কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা

প্রতিনিধি, যশোর : আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের অধীনে এবছর এক লাখ ৫৮ হাজার ১০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ৭৮ হাজার ৬৬৯ ও ছাত্রী রয়েছে ৭৯ হাজার ৪৩৩ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে যশোর বোর্ড থেকে মোট এক লাখ ৭০ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সে হিসাবে এ বছর যশোর বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১২ হাজার ২৭৫ জন। ইতোমধ্যে পরীক্ষা আয়োজনের সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডক্টর বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ।

যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীন ১০ জেলার দুই হাজার ৫৫১ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। কেন্দ্র রয়েছে ২৯২টি।

যশোর শিক্ষা বোর্ডে এ বছর নিয়মিত পরীক্ষার্থী এক লাখ ৫০ হাজার ৩৬২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৭৪ হাজার ৩৯৭ ও ছাত্রী ৭৫ হাজার ৯৬৫ জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ৭৮২ জন। এরমধ্যে ছাত্র ২৫২ ও ছাত্রী ৫৩০ জন। মান উন্নয়ন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১। এরমধ্যে ছাত্র ৬০ ও ছাত্রী ২১। যশোর শিক্ষা বোর্ডের তথ্য মতে, বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ৩৯ হাজার ৪৩৭ জন। এরমধ্যে ছাত্র ২০ হাজার ৯১৭ ও ছাত্রী ১৮ হাজার ৫২০ জন। মানবিক বিভাগে মোট এক লাখ ৭৬৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৭০৩ ও ছাত্রী ৫৩ হাজার ৬২ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৭ হাজার ৯০০ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৪৯ ও ছাত্রী সাত হাজার ৮৫১ জন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ডক্টর বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ জানিয়েছেন, এ বছর সব বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। তবে, আইসিটি বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে ৫০ নম্বরের। সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে পরীক্ষা। শেষ হবে দুপুর একটায়। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে আধা ঘণ্টা আগে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার হলে। কোনো কারণবশতঃ কেউ যদি দেরিতে আসে তাহলে তার নাম, রোল, প্রবেশের সময় লিপিবদ্ধ করে শিক্ষাবোর্ডে পাঠাতে হবে।

কেন্দ্র সচিব ছাড়া কেন্দ্রে কেউই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো রকম অনিয়ম না হয় সেজন্য কেউ কোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্ন সর্টিংয়ের সময় একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্ব স্ব এলাকায় পাঠানো হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করতে যা যা করার দরকার তার সবকিছু করা হবে।