শেয়ার বিজ ডেস্ক: চলতি সপ্তাহে চীনের গুয়াংজির পার্বত্য এলাকায় বিধ্বস্ত চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের যাত্রীদের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। খবর: সিনহুয়া।
উদ্ধারকারী দলগুলো দুর্ঘটনাস্থল থেকে এসব দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় কতজন নিহত হয়েছেন, কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি। তবে উড়োজাহাজটির ১৩২ আরোহীর কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত সোমবার উড়োজাহাজটি ইউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিং থেকে গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী গুয়াংজিতে যাওয়ার পথে মাঝ আকাশ থেকে খাড়া পার্বত্য বন এলাকায় পড়ে বিধ্বস্ত হয়। তদন্তকারীরা এখনও এর কারণ উদ্ধার করতে পারেননি। ফ্লাইটটির কোনো কারিগরি ত্রুটি বা আবহাওয়াজনিত কোনো কারণ এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী কি না, এ পর্যন্ত সেসব নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
চীনের বিমান চলাচল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফ্লাইটটির গমনপথে আবহাওয়া বা অন্য কোনো বিপদ বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। আর প্রায় ছয় বছর পুরোনো বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি এর শেষ উড্ডয়নের আগে করা সব ধরনের পরীক্ষায়ও উৎরে গিয়েছিল বলে চায়না ইস্টার্ন জানিয়েছে। গত বুধবার উদ্ধার হওয়া প্রথম ব্ল্যাকবক্স (ককপিট ভয়েস রেকর্ডার) এ রহস্যের জট কিছুটা হলেও ছাড়াতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল প্রশাসনের (সিএএসি) এক কর্মকর্তা জানান, ব্ল্যাকবক্সটির বাইরের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভেতরের রেকর্ড ভালো রয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণের জন্য সেটি বেইজিংয়ে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধারকারীরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে এ ব্ল্যাকবক্সটি খুঁজে পেয়েছেন। উড়োজাহাটি বিধ্বস্ত হয়েছে উঝৌ অঞ্চলে। সেই পার্বত্য এলাকায় বুধবার ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে উড়োজাহাজের আঘাতে ভূমিতে হওয়া গর্তগুলো পানিতে পূর্ণ হয়ে যায়। দুর্গম পাহাড়ি ঢালগুলো কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল হওয়ায় উদ্ধারকারী ও স্বেচ্ছাসেবীদের পক্ষে তল্লাশি চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। এরপরও তারা ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, কয়েক যাত্রীর আরোহীর দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন। গতকালও হালকা বৃষ্টির মধ্যে তারা দ্বিতীয় ব্ল্যাকবক্সের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েছেন।