Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 3:10 pm

যুক্তরাজ্যে কভিড ট্যাবলেট অনুমোদন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্তের চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার ওষুধ ‘মলনুপিরাভির’ ট্যাবলেটকে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। স্থানীয় সময় গত বুধবার দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর এ অনুমোদন দেয়। খবর: বিবিসি।

সম্প্রতি যারা করোনায় সংক্রমিত বলে শনাক্ত হয়েছেন এবং ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের ‘মলনুপিরাভির’ নামের ট্যাবলেট দিনে দুবার খেতে দেয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি মের্ক (এমএসডি নামে যুক্তরাজ্যে পরিচিত) উদ্ভাবিত এ মলনুপিরাভির ট্যাবলেটটি করোনার চিকিৎসায় মুখে খাওয়ার প্রথম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ। মূলত ফ্লু’র চিকিৎসার জন্য এ ট্যাবলেট উদ্ভাবন করা হয়েছিল। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এটি সেবনের ফলে করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যু অর্ধেক কমাতে সক্ষম হয়েছে।

এ বিষয়ে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানান, এ চিকিৎসা পদ্ধতি ‘গেমচেঞ্জার’। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের জন্য আজ এক ঐতিহাসিক দিন, বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ অনুমোদন পেয়েছে; যা করোনার চিকিৎসায় বাসাতে সেবন করা যাবে।

যুক্তরাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমএইচআরএ জানায়, করোনায় আক্রান্ত হালকা থেকে মাঝারি অবস্থার রোগী যাদের স্থুলতা, বেশি বয়স, ডায়াবেটিস বা হƒদরোগের মতো অন্তত একটি গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে তাদের জন্য এ ওষুধের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে চার লাখ ৮০ হাজার কোর্স ট্যাবলেটের অর্ডার দিয়েছে; যা চলতি বছরের শেষ নাগাদ হস্তান্তর করা হবে। আর যুক্তরাষ্ট্রও ইতোমধ্যে আড়াই লাখ কোর্সেল আদেশ দিয়েছে। এ জন্য যুক্তরাজ্য কত টাকার চুক্তি করেছে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ না করলেও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে তারা এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার খরচ করছে এ ট্যাবলেটে।

অনুমোদন পেল কোভ্যাকসিন: এদিকে ভারত বায়োটেকের তৈরি কভিড টিকা ‘কোভ্যাকসিন’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত জানুয়ারিতে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলার মধ্যেই এটি অনুমোদন করেছিল ভারতের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এ পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে ভারত বায়োটেকের কাছে কোভ্যাকসিনের উপকারিতা ও ঝুঁকির চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য আরও কিছু তথ্য চেয়ে পাঠায় ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞ প্যানেল। স্বাধীন এ প্যানেল ডব্লিউএইচও’র কাছে টিকা অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে থাকে। তাদের দেয়া তথ্য ও সুপারিশের ভিত্তিতেই অবশেষে কোভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেল।