শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার কমে গত মাসে ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ হয়েছে। দেশটির সরকারি হিসাবে এ চিত্র ফুটে উঠেছে। মূলত জ্বালানির মূল্য কমায় মূল্যস্ফীতিতে এমন স্বস্তি ফিরেছে। খবর: আল-জাজিরা।
গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগ জানায়, ভোক্তা মূল্যসূচক (সিপিআই) ৬ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা জুনের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কম। এতে নাগরিকদের জীবনযাত্রার ওপর থেকে চাপ কিছুটা কমছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগের মাস জুনে সিপিআই কমে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।
বিশ্লেষকরাও মূল্যস্ফীতির ব্যাপারে একই ধরনের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দিয়েছিল। তবে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি এখনও বেশি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকবার সুদের হার বাড়িয়েছে।
দেশটিতে জুলাইয়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমেছে। কিন্তু খাদ্যের দাম বেশি রয়েছে। তবে তা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কম।
পরিসংখ্যান বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ম্যাথিউ কোরডার বলেন, দ্বিতীয় মাসের মতো মূল্যস্ফীতি কমেছে, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম এর প্রধান কারণ। দুধ, রুটি ও সিরিয়ালের দাম কমেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাইয়ে কোর মূল্যস্ফীতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধান ঋষি সুনাক মূল্যস্ফীতি অর্ধেকে নামিয়ে আনার চেস্টা করছেন। আগামী মাসে ফের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও সুনাক জানিয়েছেন, পরিকল্পনামাফিক কাজ চলছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি পরিকল্পনামতো চলতে পারি, তাহলে মূল্যস্ফীতি থেকে মুক্তি পাব। তবে অর্থনীতিবিষয়ক চিন্তন প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজ (আইএফএস) তার দাবি মানতে নারাজ।
আইএফএসের অর্থনীতিবিদ হেইদি কারজালাইনেন বলেন, খাদ্য ও জ্বালানি ছাড়া সব খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বিশেষ করে পণ্য ও পরিসেবা খাতে মূল্যস্ফীতির উচ্চহারের কারণে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।
এদিকে অচলাবস্থা কাটিয়ে প্রথমবারের মতো একটি কনটেইনার জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে। কৃষ্ণসাগরে সাময়িকভাবে নির্মিত শিপিং করিডোর ব্যবহার করবে এটি।