শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের নতুন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিমের (ডিসিটিএস) আওতায় ৯৬ কোটি ডলারের সমপরিমাণ পণ্যের শুল্ক সুবিধা হারাচ্ছে ভারত। খবর: ইকোনমিক টাইমস।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে কার্পেট, চামড়াজাত পণ্য, টেক্সটাইল, লোহা, ইস্পাত, বিমানের যন্ত্রাংশ ও রাসায়নিক। তবে ভারত-যুক্তরাজ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা চলছে। সে কারণে এসব সুবিধা হারানোর বিষয়টি সাময়িক হতে পারে বলে আশা করছে ভারত।
ভারত সরকার ইতোমধ্যে এফটিএ-এর আওতায় টেক্সটাইল ও চামড়াজাত পণ্যের প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করছে। এ বিষয়ে কাজ করছে যক্তরাজ্য সরকারও। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে কাজ করছে দুই দেশ। এজন্য তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন, যাতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে, যার আর্থিক মূল্য ৩৪ বিলিয়ন পাউন্ড।
যুক্তরাজ্যের সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিক শেষে ভারত যুক্তরাজ্যের ১২তম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়। এ হিসাবে যুক্তরাজ্যের মোট বাণিজ্যের ২ দশমিক ১ শতাংশের অংশীদার ভারত।
ডিসিটিএস স্কিমের আওতায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো (এলডিসি) শুল্কমুক্ত এবং কোটা-মুক্ত সুবিধা পাবে। নি¤œ আয়ের দেশগুলো (এলআইসি) এবং নি¤œ ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো (এলএমআইসি) এই স্কিমের আওতায় যুক্তরাজ্যে তাদের ৮৫ শতাংশ পণ্যের কোটা-মুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। শেষের দেশগুলোর মধ্যে ভারতও রয়েছে।
তবে বেশ কয়েকটি শ্রমঘন শিল্প যুক্তরাজ্যের নতুন এই স্কিমের আওতাভুক্ত নয়, আবার অনেক খাত এফটিএর আওতায় চলে আসতে পারে। যেমন ভারতের চামড়াজাত পণ্য যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ট্যারিফের অংশ হবে। দেশটির ধাতব পণ্য ডিসিটিএস স্কিমের আওতায় চলে আসবে। এছাড়া বাইসাইকেলও অগ্রাধিকারের তালিকায় চলে আসবে।
এই শুল্ক তফসিলে ভারতের জন্য ১৯টি অধ্যায় রয়েছে। তবে ঠিক কত পণ্য এই তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে, তার সংখ্যা জানা যায়নি।
যুক্তরাজ্য সরকার জানিয়েছে, যেসব পণ্য কাস্টমসের গুদামে আছে বা ট্রানজিটে রয়েছে, সেগুলো জিএসপি সুবিধা পাবে। তবে এসব পণ্যের উৎসবিষয়ক প্রত্যয়নপত্র ১৯ জুনের আগে অনুমোদন করতে হবে।
যুক্তরাজ্য সরকার আরও জানিয়েছে, দরিদ্র দেশগুলো থেকে আসা অন্তত ৮৫ শতাংশ পণ্য যেন যুক্তরাজ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা পায় সেই সুবিধা রাখা হয়েছে। বর্তমানে জিএসপির আওতায় ৮০ শতাংশ পণ্য এসব সুবিধা পাচ্ছে।
