শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ৬০ রুশ কূটনীতিককে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বহিষ্কার করার জবাবে এবার সমান সংখ্যক মার্কিন কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে রুশ কনস্যুলেট বন্ধ করার জবাবে সেন্ট পিটার্সবার্গের মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিন প্রশাসন। খবর বিবিসি, রয়টার্স।
ব্রিটেনের সলসবারিতে সাবেক রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সের্গেই স্ক্রিপাল (৬৬) ও তার মেয়ে ইউলিয়া স্ক্রিপালের (৩৩) ওপর বিষ প্রয়োগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি এই বহিষ্কারের ঘটনা ঘটল। এর আগে জার্মানি, ফ্রান্স ও ইউক্রেনও রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়। এর বাইরে ইউরোপীয় বেশ কিছু দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে বলেন, রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কারের পাল্টা জবাব হিসেবে মস্কো এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রুশ কূটনীতিক বহিষ্কারকারী অন্যান্য দেশকেও একই ধরনের জবাব দেওয়া হবে।
সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়েকে বিষ প্রয়োগের ঘটনায় রাশিয়ার হাত রয়েছে বলে গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একমত হন। তবে সলসবারির ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে রাশিয়া।
৪ মার্চ ব্রিটেনের সলসবারি শহরের একটি বিপণিকেন্দ্রের বাইরে বেঞ্চিতে সের্গেই ও তার মেয়েকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, তাদের দুজনের ওপর নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল। তারা ওইদিন দুপুরে যে রেস্তোরাঁয় খাবার খেয়েছিলেন, সেই রেস্তোরাঁর টেবিলে পুলিশ নার্ভ এজেন্টের আলামত পায়।
সের্গেই স্ক্রিপাল একসময় রাশিয়ার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কর্নেল ছিলেন। ২০০৬ সালে তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ ওঠে। রাশিয়ায় তার ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে ১০ জন মার্কিন গুপ্তচরের বিনিময়ে তিনি ছাড়া পান। ওই বছরই সের্গেই ব্রিটেনে আশ্রয় নেন। এছাড়া রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাবেক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টায় ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা যে জড়িত নয়, সেটা ব্রিটেনকে প্রমাণ করতে হবে। আর প্রমাণ দিতে না পারলে রুশ নাগরিকদের ওপর এই হামলাকে রাশিয়াবিরোধী উত্তেজনা উসকে দেওয়ার তৎপরতা হিসেবে দেখবে ক্রেমলিন।