যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান কমিয়েছে ফিচ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: আর্থিক দশা এবং ঋণের বোঝা নিয়ে উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ক্রেডিট রেটিং কমিয়েছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ফিচ। খবর: বিবিসি।

বিশ্বে যে তিনটি বৃহৎ স্বাধীন ক্রেডিট সংস্থা রয়েছে তার একটি ফিচ। বিশ্বে তাদের ঋণমানের গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি। ফিচের ঋণমানে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এএএ’ থেকে এক ধাপ নামিয়ে ‘এএ+’ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঋণমান নির্ধারণ করে ফিচ বলেছে, গত ২০ বছর ধরে তারা মার্কিন প্রশাসনে সুশাসনের ধারাবাহিক অবক্ষয় লক্ষ্য করছে।
দেশটির অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন ফিচের এই সিদ্ধান্তকে ‘খামখেয়ালি’ বলছেন। তিনি বলেন, ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের ‘পুরনো তথ্য’-এর ওপর ভিত্তি করে ওই রেটিং দিয়েছে ফিচ।

এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেক অর্থনীতিবিদও। সাবেক অর্থমন্ত্রী ল্যারি সামারস একে ‘উদ্ভট এবং অযোগ্য’ বলেছেন।

কোনো দেশকে ঋণ দেয়া কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা বোঝার জন্য বিনিয়োগকারীরা ক্রেডিট রেটিংকে একটি মানদণ্ড হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে অর্থনীতির আকার এবং স্থিতিশীলতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ দেয়ার বিষয়টি অত্যন্ত নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তবে মার্কিন সরকারের ঋণসীমা নিয়ে চলতি বছরও রাজনৈতিক টানাপড়েন দেখেছে বিশ্ব।

গত জুনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে টানা কয়েক সপ্তাহের দর কষাকষি শেষে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঋণসীমা ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন করে দেশটির কংগ্রেস। সে সময় ওই সমঝোতা সম্ভব না হলে ঋণে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ত যুক্তরাষ্ট্র।

গ্রীষ্মকালীন অবকাশ থেকে ফিরে কংগ্রেস যখন আবার অধিবেশনে আসবে, তখন দেশটির আইন প্রণেতাদের আগামী বছরের বাজেট নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। সেটা করতে হবে সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার আগেই, তা না হলে যুক্তরষ্ট্রের সরকারি কর্মকাণ্ড বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে।
এক বিবৃতিতে ফিচ জানিয়েছে, ঋণমান কমে যাওয়ার কারণে আগামী তিন বছর যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক ঘাটতি দেখা দেবে। সরকারের ঋণের বোঝা আরও বাড়বে এবং ক্ষয়িষ্ণু হবে সরকার।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০