শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও চীনা প্রেসিডেন্টের ভার্চুয়াল সম্মেলনে পরও দুই পরাক্রমশালী দেশের বাণিজ্যে বৈরী সম্পর্ক বিদ্যমান। তাইওয়ান ইস্যুতে একে অন্যকে ছাড় দিচ্ছে না। ভার্চুয়াল সম্মেলনে দুই নেতার মিলিত হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের উন্নতি হবে বলে মনে করা হয়। কিন্ত দৃশ্যত উভয় দেশের তিক্ততা আরও বেড়েছে। যার প্রমাণ চীনের আরও ডজনখানেক প্রযুক্তি কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ। গতকাল হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় চীন, জাপান, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুরের মোট ২৭টি কোম্পানি ও সংস্থাকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। খবর: বিবিসি, রয়টার্স, সিএনবিসি।
হোয়াইট হাউস বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নিলো ওয়াশিংটন।
ওয়াশিংটন বলছে, যেসব প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে বেশকিছু কোম্পানি চীনের সামরিক বাহিনীর কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রোগ্রাম বিকাশে সহায়তা করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের মর্যাদা এবং অন্যান্য ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এর মধ্যেই সর্বশেষ এ পদক্ষেপের ঘোষণা এলো।
চীনের সামরিক বাহিনীর কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রচেষ্টায় সহায়তা করা এবং সামরিক অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের মতো সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টায় ভূমিকা রাখার অভিযোগে তথাকথিত এনটিটি লিস্টের আওতায় আটটি চীনাভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানিকে যুক্ত করা হয়েছে।
মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানের অনিরাপদ পারমাণবিক কার্যক্রম বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি’তে জড়িত থাকার কারণে চীন এবং পাকিস্তানে কর্মরত ১৬ জন ব্যক্তি এবং সংস্থাকেও তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চীন, জাপান, পাকিস্তান এবং সিঙ্গাপুরের মোট ২৭টি নতুন সংস্থাকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়াকে এ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছিল।
