শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীনে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর প্রতি ন্যায্য আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøঙ্কেন। তিন দিনের চীন সফরে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। খবর: রয়টার্স।
এ সময় চীনা ব্যবসার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি সমান সুযোগ তৈরি করার আহŸান জানান বিøঙ্কেন। উভয় দেশের মধ্যকার বিতর্কিত কিছু সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে চীনে সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে ইউক্রেন, ইসরায়েল ও তাইওয়ানের জন্য প্রায় শত বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা বিল পাস হওয়ার পরই দেশটিতে গেলেন তিনি।
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো চীনে কীভাবে কাজ করে এবং চীনা রপ্তানি ও উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান মতভেদ দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি চীনা সমর্থনের বিষয়টি নিয়েও বাড়ছে উত্তেজনা।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, সাংহাইয়ে চীনের শীর্ষ কর্মকর্তা চেন জিনিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিøঙ্কেন। এ সময় চীনের ‘বাণিজ্য নীতি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিøঙ্কেন বলেন, চীনের সঙ্গে একটি সুস্থ অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মী ও চীনে কর্মরত সংস্থাগুলোর জন্য একটি সমান সুযোগ চায় যুক্তরাষ্ট্র।
ওদিকে চীনের উৎপাদন ক্ষমতা অধিক এমন কথাকে ভিত্তিহীন সমালোচনা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে চীন। দেশটির বলছে, বৈদ্যুতিক যান থেকে শুরু করে সৌর প্যানেল পর্যন্ত চীনা শিল্পগুলো প্রতিযোগিতামূলক এবং উদ্ভাবনী।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে চেন বলেন, উভয় দেশের নেতাদের মধ্যকার সাম্প্রতিক প্রচেষ্টা ‘দুই দেশের সম্পর্কের স্থিতিশীলতা ও সুস্থতা বিকাশে সহায়তা করেছে। তিনি আরও বলেন, সহযোগিতা বা সংঘর্ষের মধ্য থেকে আমরা যেটিই বেছে নিই না কেন তা উভয় দেশ, দেশের জনসাধারণ এবং মানবতার ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে।
তবে চলতি মাসে চীন সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জেনেট ইয়েলেন চীনকে সতর্ক করে বলেন, চীনা আমদানির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শিল্প ধ্বংস মেনে নিতে পারবে না ওয়াশিংটন। এমনকি চীনের অতিরিক্ত উৎপাদন ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি। ইয়েলেন আরও বলেন, ২০০০-এর দশকের শুরুতে চীনের আমদানি পণ্যের ধাক্কায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০ লাখ কর্মসংস্থান। সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর ঘটতে দেবেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।