যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ ৩০ লাখ কোটি ডলার

শেয়ার বিজ ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে। দেশটির রাজস্ব দপ্তরের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, দেশটির সরকারি ঋণের পরিমাণ বর্তমানে ৩০ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। খবর: নিউইয়র্ক টাইমস।

কভিড-১৯ মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ঋণ নেয়ার হার বেড়ে যায়। এ সময় অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বেপরোয়া ব্যয় শুরু করে সরকার। একে ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ২০১৯ সালের পর দেশটির জাতীয় ঋণ বেড়েছে প্রায় সাত লাখ কোটি ডলার। এ সময়ের মধ্যে পাঁচ লাখ ডলার ব্যয় করা হয় বেকারদের কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহায়তা ও প্রণোদনার দেয়ার জন্য।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস পূর্বাভাস দিয়েছিল, জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২০২৫ সালের শেষের দিকে ৩০ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যাবে। তবে এর প্রায় তিন বছর আগেই এ মাইলফলক স্পর্শ করল দেশটি।

অবশ্য ঋণের পরিমাণ নির্ণয়ের সঠিক মাপকাঠি নেই। কোন পরিমাণ ঋণকে খুব বেশি বলা যাবে, তা নির্ণয় করা অসম্ভব। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এই ঋণ কেমন সমস্যায় ফেলবে দেশটিকে, তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মতভেদ রয়েছে। তবে এটা নিশ্চিত যে, ঋণ যখন নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে, তখন সুদের হার বাড়বে বলে ধারণা করছেন তারা।

দীর্ঘদিন সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেরও চেষ্টা করছে দেশটির রাজস্ব দপ্তর। তবে জেপি মর্গান অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈশ্বিক কৌশলবিদ ডেভিড কেলি বলেন, ‘এটা স্বল্পমেয়াদি কোনো সংকট নয়, বরং আমরা দীর্ঘ মেয়াদে আরও দরিদ্র হতে যাচ্ছি।’

কয়েক বছর ধরে প্রেসিডেন্টরা ফেডারেল ব্যয়ের পরিমাণ কমাতে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। একই সঙ্গে তারা বাজেটের ঘাটতি পূরণে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলেছেন। তবে ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন কেবল এসব ওয়াদা রাখতে পেরেছিলেন।

বর্তমানে কভিড মহামারির দীর্ঘস্থায়িত্ব অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি শ্লথ করে দিয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে মূল্যস্ফীতিও। ১৯৮০ সালের পর এবারের মূল্যস্ফীতি ভাবিয়ে তুলছে দেশটির কর্তৃপক্ষকে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০