যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণসীমা বৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক

শেয়ার বিজ ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থির বৈঠক হওয়ার কথা। খবর: রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় এই বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানে প্রেসিডেন্ট ও হাউস স্পিকার ছাড়াও কংগ্রেসের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতা অংশ নেবেন।

দেশটির ঋণ বেড়ে আগের নির্ধারণ করা সীমার কাছে পৌঁছে গেছে। সুতরাং জাতীয় ঋণের সীমা বৃদ্ধি না করলে ফেডারেল সরকার ঋণ গ্রহণ করতে পারে না। ফলে জুনের শুরুতে তারা খেলাপি হয়ে পড়তে পারে। এ পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে রিপাবলিকান দলের ঐকমত্য জরুরি।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভ এখন রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্র্যাট দলের। ফলে বাইডেনের পক্ষে সহজে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।

রিপাবলিকানরা বলেছে, ডেমোক্র্যাটরা সরকারি ব্যয় কমানোর অঙ্গীকার না করলে তারা ঋণের সীমা বৃদ্ধির পক্ষে ভোট দেবে না। ঋণের সীমা না বাড়লে দেশটির সরকার গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়বে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চান, কংগ্রেস বিনা শর্তে ঋণের সীমা বৃদ্ধি করুক। তিনি বলেন, ঋণের সীমা বৃদ্ধির বিষয়ে আপস বা শর্ত দেয়া যাবে না। এই বিষয় সুরাহা হওয়ার পরই কেবল বাজেট হ্রাসের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি বলেছেন, বৈঠকের আগে অগ্রগতির তেমন কোনো লক্ষণ তিনি দেখেছেন না। অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না, এই পরিস্থিতিতে হাতে যে সময় আছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৈঠক শেষ করে জি৭-এর বৈঠকে অংশ নিতে জাপানে যাবেন। জো বাইডেন বলেন, উভয় পক্ষই ঐকমত্যে আসতে চায় বলে তিনি মনে করেন। তার মতে, ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে; কিন্তু সময় খুব কম। বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের জাপান সফরের কারণে বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় ‘এক্স-ডেট’ আসন্ন। অর্থাৎ সেই সময় আর খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন সরকারের পক্ষে সব ব্যয় পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। জুনের প্রথম সপ্তাহেই সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০