Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 12:43 pm

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যনীতির কড়া সমালোচনা চীন ও দ. আফ্রিকার

শেয়ার বিজ ডেস্ক: উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধে কেউ জিতবে না বলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সময় তিনি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি সংরক্ষণবাদ প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া উন্নয়নশীল দেশের ওপর শুল্ক অবরোধের হুমকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিক ব্রিকস জোটের বৈঠকে তারা এ হুশিয়ারি দেন। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে তিন দিনব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। খবর বিবিসি।
শি জিনপিং বলেন, সবাইকে একতরফা বিশ্বব্যবস্থা প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে অটল থাকতে হবে। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যযুদ্ধও প্রত্যাখ্যান করা উচিত, কারণ এতে কোনো পক্ষই জয়ী হবে না। একতরফা কোনো ব্যবস্থা কেউই মেনে নেবে না। এ সময় চীন নিজের দরজা খোলা রেখেই নিজেকে আরও বেশি উন্নত করতে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো ও ক্রমবর্ধনশীল বাজারের যৌথ উত্থান কেউই আটকাতে পারবে না। আর এর মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যবস্থায় ভারসাম্য ফিরে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি চীন থেকে আমদানি করা ৫০ হাজার কোটি ডলার পণ্যের ওপর শুল্ক বসাতে প্রস্তুত। চীনের কাছে বাজার খুলে দিয়ে তার দেশের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার হিসেবে, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ৮০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এ ঘাটতির প্রধান কারণ চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান ভারসাম্যহীনতা বলে মনে করেন তিনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, কারসাজি করে জিনিস বিক্রি করা চীনের মূল লক্ষ্য। এতে শত শত শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এবং লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে।
গত মার্চে অ্যালুমিনিয়াম এবং ইস্পাতসহ শত শত চীনা আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে চীনও পানীয়, শূকরের মাংস, ফলসহ প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করে। ফলে বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির এই রেষারেষিতে শুরু হওয়া বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মতো অনেক দেশ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশটির ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম খাতের সাত হাজার কর্মীকে এর ফল ভোগ করতে হচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রামাফোসা বলেন, তার দেশ একপক্ষীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিরোধী। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মাবলির সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের ধারণা সাংঘর্ষিক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।