যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো উপসাগরে তেলের উৎপাদন কমেছে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: হারিকেন হেলেনের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো উপসাগরে ক্রুড অয়েলের উৎপাদন কমেছে ২৪ শতাংশ। তাছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন কমেছে ১৮ শতাংশ। ইউএস ব্যুরো অব সেফটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল এনফোর্সমেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: রয়টার্স।
এর আগে গত বুধবার উৎপাদন সর্বোচ্চ হওয়ার পর টানা দুই দিনের মতো তেল ও গ্যাসের উৎপাদন কমে যায়।

ব্যুরো জানিয়েছে, জ্বালানি উৎপাদনকারীরা প্রতিদিন চার লাখ ২৭ হাজার ব্যারেল তেল ও প্রায় ৩৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ফেডারেল পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ তেলের ১৫ শতাংশ ও গ্যাসের ২ শতাংশই আসে যুক্তরাষ্ট্রের মেক্সিকো উপসাগর থেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে হারিকেন হেলেনের আঘাতে অন্তত ৪৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এতে সেখানের লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। নৌকা, হেলিকপ্টার ও বড় গাড়ির সাহায্যে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

ফ্লোরিডার বিগ বেন্ডে আঘাত হানে শক্তিশালী হারিকেন হেলেন। এরপর এটি জর্জিয়া ও ক্যারোলিনার দিকে চলে যায়। গত বৃহস্পতিবার হ্যালেন ফ্লোরিডায় প্রথম আঘাত হানে। বীমাকারী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে ক্ষয়ক্ষতি বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর মেক্সিকো উপসাগরে আঘাত হানে হারিকেন ফ্রান্সিন। এ কারণে অপরিশোধিত তেলের সরবরাহ কমে যায়। এতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পায়। সে সময় ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল ব্যারেল প্রতি ৭১ ডলারের উপরে উঠেছিল, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ৬৮ ডলারের কাছাকাছি ওঠে। হারিকেন ফ্রান্সিনের কারণে লুইজিয়ানায় ভূমিধ্বস হয়। এর ফলে মেক্সিকো উপসাগরে প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য করেছিল ইউএস ব্যুরো অব সেফটি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল এনফোর্সমেন্ট। সংস্থাটি জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মেক্সিকো উপসাগরে ১২ শতাংশ অপরিশোধিত তেল ও ১৬ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০