শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোর পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধার মেয়াদ বাকি দুই বছর। দক্ষিণ আফ্রিকায় গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া ইউএস-আফ্রিকা গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্ট (এজিওএ) ট্রেড ফোরামের আলোচ্য সূচিতে এই সুবিধার মেয়াদ সম্প্রসারণের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে। খবর: এপি।
ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাম্বাসেডর ক্যাথারিন টাই ও আফ্রিকান অ্যাফেয়ার্সের ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট জয় বাসু ফোরাম শুরুর পরের তিন দিন জোহানেসবার্গে আফ্রিকান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তারা অন্যান্য বিষয় ছাড়াও এজিওএ’র সম্প্রসারণ ও আফ্রিকান দেশগুলোর জন্য এর সুবিধার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতি যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় নাইজার, উগান্ডা, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও গ্যাবনকে সুবিধাপ্রাপ্তদের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পরপর এই ফোরামটি শুরু হতে যাচ্ছে।
এজিওএ হলো যুক্তরাষ্ট্রের একটি আইন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে। এর জন্য দেশগুলোকে এই আইনের ধারাগুলো মেনে চলা ও মানবাধিকার সুরক্ষাসহ কিছু নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে হয়।
শুল্কমুক্ত সুবিধাটি সর্বশেষ ২০১৫ সালে ১০ বছরের জন্য নবায়ন করা হয়। এর মেয়াদ ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। মেয়াদ নবায়ন নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের ওপর।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন স্ট্রেমল এজিওএ’র সুবিধাভোগী দেশগুলো এর নবায়নের চেষ্টা করবে বলে আমরা আশা করি। কারণ কয়েকটি দেশ এর সত্যিকারের সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছে, যদিও কয়েকটি দেশ তার সহযোগীদের চেয়ে বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, এজিওএ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আফ্রিকায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয়ের সমর্থন পেয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বাণিজ্যমন্ত্রী ইব্রাহিম পাটেল এজিওএ’র সম্প্রসারণের জন্য লবি করবেন বলে তার দেশের আইনপ্রণেতাদের জানান।
দক্ষিণ আফ্রিকা এজিওএ’র অন্যতম বড় সুবিধাভোগী। এই সুবিধার মাধ্যমে ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ বিলিযন বা ৩০০ কোটি ডলার।
চলতি বছর রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এজিওএ’তে দক্ষিণ আফ্রিকার অংশ নেয়া হুমকিতে পড়ে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা এই ফোরামটি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সরিয়ে অন্য দেশে অনুষ্ঠানেরও দাবি জানান।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার নির্দেশে হওয়া তদন্তের ফলে রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ থেকে মুক্তি পায় তার দেশ।
