শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তিনি স্বাক্ষর করার পর থেকে সেটি আইনে পরিণত হয়েছে। মূলত রাশিয়াজুড়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খবর: এপি।
রুশ বাহিনী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর শাস্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ ও অন্যান্য ব্যাংকে গচ্ছিত রাশিয়ার ৩০ হাজার কোটি ডলার জব্দ করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অন্যান্য দেশ বড় পরিসরে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইউরোপীয় কাউন্সিল থেকে রাশিয়াকে বাদ দেয়া হয় এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ভেটো দানের ক্ষমতা তুলে নেয়া হয়। কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তাদের দেশ থেকে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রাশিয়ার কোনো রাজনীতিক ও অলিগার্ক যাতে প্রবেশ করতে না পারেন, বা ট্রানজিটের জন্য অবস্থান করতে না পারেন, সেজন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মস্কোর প্রতি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার বাণিজ্যে প্রভাব পড়ে।
সেই পদক্ষেপের জবাবে ২০২৩ সালে একটি আইন জারি করে মাস্কো। আইনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নাগরিক রাশিয়ায় ?সম্পত্তি কিনেছেন বা বিনিয়োগ করেছেন, তারা যদি তাদের সম্পত্তি বিক্রি করতে চান বা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে তাদের রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে অনুমতি নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত এপ্রিলে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বাবদ দুটি বিলে স্বাক্ষর করেন। একটি বিলে ইউক্রেনকে নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ এবং অপর বিলে রাশিয়ার জব্দ করা সম্পত্তি থেকে সেই প্যাকেজ ক্রয়ের অর্থ সংগ্রহের উল্লেখ রয়েছে।
বইডেন বিল দুটিতে স্বাক্ষরের এক মাস পর ওই ডিক্রিতে স্বাক্ষর করলেন পুতিন। বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থার যথাযথ জবাব দিতে ডিক্রিটি জারি করেছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মালিকানাধীন রিয়েল এস্টেট, ব্যক্তিগত সম্পত্তি, পুঁজি, শেয়ার প্রভৃতির ওপর এই ডিক্রি কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সম্পত্তির তালিকা তৈরির জন্য মস্কো এরই মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের দল গঠন করেছে।
