শেয়ার বিজ ডেস্ক: তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানান দেশটির কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। চীনের কঠোর হুশিয়ারি উপেক্ষা করে তিনি তাইওয়ান সফর করছেন। খবর: সিএনএন।
গতকাল বুধবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ন্যান্সি পেলোসি। এ সময় তিনি বলেন, বন্ধুত্বের খাতিরে আমরা তাইওয়ানে এসেছি। এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। ওয়াশিংটনের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও জানান তিনি।
পেলোসি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে একটি আইন পাস হয়। এটি এমন একটি আইন, যা দ্বীপটিকে আত্মরক্ষা করতে সহায়তা দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে উদ্বুদ্ধ করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাইওয়ানের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করব না। একই সঙ্গে আমরা আমাদের স্থায়ী বন্ধুত্বের জন্য গর্বিত। তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা এখানে সেই বার্তাটি নিয়ে এসেছি।
এদিকে দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার রাতে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগে তাইপেতে পৌঁছান পেলোসি। জানা গেছে, স্থানীয় সময় ১০টা ৪৪ মিনিটে তাকে বহন করা উড়োজাহাজটি তাইপের মাটি স্পর্শ করে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে চড়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে তিনি তাইপেতে পৌঁছান।
গত সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে তা হবে চীনের অভ্যন্তরীণ নীতিতে কুরুচিপূর্ণ হস্তক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের এ উদ্যোগ ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে। চীনের সামরিক বাহিনী চুপ থাকবে না বলেও হুশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। সবশেষ চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের কাছে যৌথ সামরিক মহড়া পরিচালনা করবে দেশটি। তাইওয়ানের পূর্বে সমুদ্র অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালাবে চীন। চলবে লাইভ ফায়ারিং।
ওদিকে পেলোসির সফর ঘিরে ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজও মোতায়েন করা হতে পারে বলে খবর এসেছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। তবে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কিছু জানায়নি যুক্তরাষ্ট্র।