আসাদ রাসেল, রাজশাহী: রাজশাহীতে ৩১ একর জায়গায় ২৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে ‘বরেন্দ্র সিলিকন সিটি’। যেখানে ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালির আদলে তৈরি হবে এ বরেন্দ্র সিলিকন সিটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রানসিকো এবং সান হোসে শহরের মাঝামাঝিতে ৩০০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা সিলিকন ভ্যালি ইন্টারনেট সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত বিশ্বব্যাপী। গুগল, ফেসবুক, ইয়াহু, অ্যাপল, ইনটেল, এএমডি, এইচপি, ওরাকল, অ্যাডবির মতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয় এ সিলিকন ভ্যালিতেই। এছাড়াও রয়েছে কয়েকশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সিলিকন সিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একনেক সভায় রাজশাহীতে ‘বরেন্দ্র সিলিকন সিটি’ প্রকল্পটি উত্থাপিত হলে তা নীতিগত অনুমোদন পায়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৮ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার বুলনপুর এলাকায় গড়ে তোলা হবে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ মহানগর সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে তথ্যপ্রযুক্তি অনেকাংশে এগিয়ে গেছে। আমরা প্রত্যাশা করি, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি সেবা ফেসবুক, গুগল, হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্রতিষ্ঠান বা সেবা রাজশাহীতে তৈরি হবে। তৈরি হবে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ বিপুল জনশক্তি।
তিনি আরও জানান, মেয়র থাকা অবস্থায় ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাজশাহীতে ‘বরেন্দ্র সিলিকন সিটি’ নামে হাইটেক পার্ক করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। রাজশাহী তথা এ অঞ্চলের মানুষের তথ্যপ্রযুক্তির এ স্বপ্ন এবার বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এ জন্য রাজশাহীর মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ।
এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, বরেন্দ্র সিলিকন সিটি বাস্তবায়ন করতে আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে। সিটি হলো পদ্মার তীররক্ষা প্রকল্প। ২৬৮ কোটি টাকার প্রকল্পও একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে এর টেন্ডারও হয়ে গেছে। কারণ বরেন্দ্র সিলিকন সিটির কাজ করার পাশাপাশি পদ্মার তীররক্ষা প্রকল্পেও কাজ করতে হবেÑবলেন তিনি।