শেয়ার বিজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের টুলসায় একটি হাসপাতালে জুনের প্রথম দিন বন্দুক হামলায় বন্দুকধারীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানায়, জুনে এটাই প্রথম হামলা, চলতি মাসে আরও হামলার আশঙ্কা তাদের। গত মাসে দুটি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে দেশটিতে, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে।
গত বুধবার হামলাকারীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছে বন্দুকধারীও। স্থানীয় পুলিশ জানায়, হঠাৎ টুলসা শহরের সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল এক ব্যক্তি হামলা চালায়। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সেখানে উপস্থিত মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় সে। ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক চারজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে বন্দুকবাজেরও। তবে পুলিশের পালটা গুলিতে সে প্রাণ হারিয়েছে, না কি আত্মঘাতী হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কী কারণে এই হামলা সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
টুলসার পুলিশ প্রধান জনাথন ব্রুকস জানান, আর কোনো হামলাকারী সেখানে লুকিয়ে ছিল কি না, তা নিশ্চিত করতে গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি করে পুলিশ। পুলিশ ক্যাপ্টেন রিচার্ড মুলেনবার্গ জানান, হাসপাতাল চত্বরে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেকে আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে হাসপাতালের নাতালি ভবনের দোতলায়। সেখানে ডাক্তারদের অফিস রয়েছে। রয়েছে একটি অর্থোপেডিক চিকিৎসাকেন্দ্র। পুলিশ জানায়, মৃত ও আহতদের মধ্যে হাসপাতালের রোগী থেকে শুরু করে কর্মীরাও রয়েছেন।
টুলসা হাসপাতালে হামলার ঘটনা ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানায় হোয়াইট হাউজ। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দশ দিন আগে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১৯ শিক্ষার্থীসহ ২১ জনের। প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর স্কুলের ওই ঘটনায় কেঁপে ওঠে পুরো দেশ। তারপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আলোচনা শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও এতে সমর্থন করেছেন। তবে বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি সহজ নয়।