শেয়ার বিজ ডেস্ক:যুক্তরাষ্ট্রের গত বছরের তুলনায় গত জুলাই মাসে ভোক্তাব্যয় ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। সরকারি তথ্যমতে, এই হার মূল্যস্ফীতিকে স্বাভাবিক হারে নামিয়ে সরকারি প্রচেষ্টা হয়েছে। তবে অর্থনীতিবিদরা আরও বেশি মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। খবর: এবিসি নিউজ।
এই হার গত বছর একই সময়ের ৯ শতাংশের চেয়ে কম হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেডের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শতকরা এক পয়েন্ট বেশি।
খাদ্য ও জ্বালানি মূল্য বাদ দিয়ে হিসাব করা মূল মূল্যস্ফীতি এক বছর আগের তুলনায় গত মাসে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ নতুন যানবাহন ও আবাসনের মতো পণ্যের দাম সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে বেশি ছিল।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুনের তুলনায় জুলাইয়ে ভোক্তা পণ্যের দাম শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কিছু মুদিপণ্যের দাম বৃদ্ধি সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হারের ওপর রয়েছে। এক বছর আগের তুলনায় জুলাইয়ে আটার দাম ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে; একই সময়ের মধ্যে রুটির দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ ও চালের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
ডিমের দাম এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ কমেছে। এক বছর আগের তুলনায় বেকনের দাম প্রায় ১১ শতাংশ কমেছে এবং মুরগির দাম কমেছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।
সবমিলিয়ে মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের হারের চেয়ে কিছুটা কম। জুলাইয়ের জন্য তারা ৩ দশমিক ৩ শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।
এক বছরের বেশি সময় ধরে ফেডারেল রিজার্ভ অর্থনীতির গতি মন্থর করে এবং ভোক্তাদের চাহিদা কমিয়ে দাম বৃদ্ধির হার কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
এখন পর্যন্ত হার বৃদ্ধির গতি কম বলে মনে হচ্ছে। তাতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়নি।
কিছু মূল অর্থনৈতিক সূচক এখনও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। শ্রমবাজার অপেক্ষাকৃত কম সক্রিয় থাকার পরও জুলাইয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এক লাখ ৮৭ হাজার নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।
ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জুলাইয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আর মন্দার পূর্বাভাস থাকছে না।
