শেয়ার বিজ ডেস্ক: টিকটক নিষিদ্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্রের নি¤œকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে একটি যুগান্তকারী বিল পাস হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে টিকটক নিষিদ্ধ হতে পারে। খবর: রয়টার্স।
এই বিল পাসের পর এখন জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মূল মালিকানা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সকে অ্যাপটির মালিকানা ছেড়ে দেয়ার জন্য ছয় মাস সময় বেঁধে দেয়া হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে মালিকানা হস্তান্তর করা না হলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবহার চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। গত বুধবার নি¤œকক্ষে বিপুল ভোটে এই বিল পাস হয়েছে। এটি আইনে পরিণত করার জন্য এখন সিনেটের অনুমোদন পেতে হবে। সিনেট অনুমোদন দেয়ার পর বিলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর করবেন এবং তারপর এটি আইনে পরিণত হবে।
টিকটকের ওপর চীনের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। কারণ প্রতিষ্ঠানটি চীন সরকারের কাছে অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সরবরাহ করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটির মূল মালিকানায় রয়েছে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স। বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি কেম্যান দ্বীপপুঞ্জে নিবন্ধিত। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপজুড়েও তারা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
সিনেট অনুমোদন দিলে শিগগির বিলটিতে স্বাক্ষর করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আবার কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টিকটকের মালিকানা ছাড়তে হলে বাইটড্যান্সকে চীনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। কিন্তু এ ধরনের কোনো অনুমতি দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বেইজিং। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রকেই উল্টো ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বিলটি উত্থাপনকারীদের একজন হলেন রিপাবলিকান সদস্য মাইক গ্যালাগার। তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রণ করে কিংবা তাদের মালিকানাধীন এমন কোনো প্রভাবশালী সংবাদ প্ল্যাটফর্মের বিষয়ে ঝুঁকি নেবে না যুক্তরাষ্ট্র।
চীনা কোম্পানিগুলো মূলত দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে কাজ করে। ফলে দেশটির সরকার চাইলে তাদের তথ্য সরবরাহ করতে কোম্পানিগুলো বাধ্য থাকে। যদিও টিকটকের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ কোটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য যেন সুরক্ষিত থাকে, সেটি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
